September 18, 2023

ডুয়েটে ‘ডীনস্ অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন কৃতী শিক্ষার্থীরা

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর বিভিন্ন অনুষদের কৃতী শিক্ষার্থীদের ‘ডীনস্ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি.) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১১ নং সেমিনার কক্ষে পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। এ সময় তিনি ‘ডীনস্ অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তোমাদের এই অর্জন আগামীদিনের জন্য মাইলফলক। মেধাবী এই শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ। তিনি শিক্ষার্থীদের এ গৌরব ধরে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার ও বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদ আলম। অনুষ্ঠানে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষ ও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ফলাফলে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখায় পুরকৌশল অনুষদের ১০ জন, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ২০ জন এবং তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল অনুষদের ১৩ জন শিক্ষার্থীকে ‘ডীনস্ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। 

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (অ.দা.), প্রোভোস্ট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের মোট ৪৩ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে এই ‘ডীনস্ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হলো।

September 01, 2023

ডুয়েট ডে- ২০২৩ উদযাপিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর ২০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ডুয়েট ডে-২০২৩ উদ্যাপিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি.) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে রঙিন বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ডুয়েট ডে-র শুভ উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ ও পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম। এরপর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়। এর আগে সূর্যোদয়ের সময় ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, আজকে আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন। ডুয়েটের প্রতিষ্ঠার এই দিনে নিশ্চয়ই আমাদের অনেক আবেগ, অনেক স্মৃতি রয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে আমি সর্বপ্রথম গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের, জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যাঁদের ত্যাগ ও সংগ্রামের বিনিমনে আমরা এই দেশকে পেয়েছি। তিনি  বলেন, বর্তমান সরকারের সাহসী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশের শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য প্রকৌশলীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই উন্নত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমাদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রত্যেকের অবস্থান থেকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, যাদের ঐকান্তিক চেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ডুয়েট দেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রে উন্নত একটি বিদ্যাপিঠে পরিণত হয়েছে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি আগামীদিনে ডুয়েটকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ডুয়েটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার মাধ্যমে প্রকৌশল শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার আহবান জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ ডুয়েটের শিক্ষার মান উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও গবেষণা কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, ডুয়েট বর্তমান সরকারের ভিশন-মিশন অনুযায়ী শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুনগত মান বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আশাবাদী ভবিষ্যতে এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ডুয়েট ডে উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, প্রভোস্ট, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব),  শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

August 30, 2023

ডুয়েটে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল (৩০ আগস্ট, বুধবার) রাতে অনলাইন প্লাটফর্ম জুমের মাধ্যমে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক ও প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বরেণ্য কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরেণ্য কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খোকা থেকে পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধুতে পরিণত হয়েছেন। তিনি দেশভাগের সময় থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন, ’৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট, আইয়ুব খানের এক দশকের স্বৈরশাসন-বিরোধী আন্দোলন, ’৬২ ও ’৬৪-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ঐতিহাসিক ৬-দফা আন্দোলন, ’৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৬-দফাভিত্তিক ’৭০-এর নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় ও ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বাঙালি জাতিকে এনে দেন স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ। দেশ স্বাধীনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট কাল রাতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে তার ব্যতয় ঘটে। অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কৃষি, শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সকলক্ষেত্রে যুগান্তকারী সাফল্য এনে দিয়ে সোনার বাংলা গড়ার কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করছেন। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি যেমন বঙ্গবন্ধু, তেমনি আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশও বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নিপুণ দক্ষতা ও অদম্য নেতৃত্বের কারণেই আমরা পেয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আজকের এই বেদনা শুধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয় বরং সমগ্র বাঙালি জাতির। এই শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র নষ্ট করে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। এছাড়া তিনি সকলকে শিক্ষার্থীবান্ধব  ও অগ্রাধিকারভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে হত্যা করে ইতিহাসের কলঙ্কিত বর্বরোচিত অধ্যায় রচিত হয়- যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। এরপর খুনিচক্র কেবল ব্যক্তি মুজিবকেই হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি, তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তির উপর আঘাত হানে। এ ঘৃণ্য হত্যাকান্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, দেশবিরোধী চক্র বাংলার মাটি থেকে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সহযোগীদের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু প্রকৃত ইতিহাস ও দর্শন কখনোই মুছে ফেলা যায় না। দেশবাসী সকল ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। দেশবাসীর সহযোগিতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ক্ষুধা, দারিদ্র মুক্ত, তথ্য-প্রযুক্তি সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কাজ অব্যাহত রেখেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাই আমাদের উচিত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনে দীক্ষিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাওয়া। 

উপাচার্য সবাইকে জাতীয় শত্রুদের বিরুদ্ধে সচেতন থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান। তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ ১৫ আগস্টে শহীদদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে এই জঘন্যতম হত্যাকান্ডের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানোর মাধ্যমে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের একান্ত দায়িত্ব বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, প্রোভোস্ট, রেজিস্ট্রার (অ. দা.), শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। 

August 21, 2023

সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হলো ডুয়েটের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও বি.আর্ক প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও বি. আর্ক প্রোগ্রামের প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে গতকাল ২০ আগস্ট (রবিবার) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ২১ আগস্ট (সোমবার) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, আর্কিটেকচার বিভাগ, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, মেটেরিয়াল্স এন্ড মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে উপ-উপাচার্যসহ জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকগণ পরীক্ষার হলসমূহ পরিদর্শন করেন। নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় উপাচার্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 

August 08, 2023

ডুয়েটে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এঁর জন্মবার্ষিকী পালিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এঁর ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ (০৮ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি.) মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালিত হয়।

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান শোকাবহ ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণ করে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাস নির্মাণে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা বলতে গেলে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কথা অবিচ্ছেদ্যভাবেই এসে যায়। তিনি অত্যন্ত সরলমনা কিন্তু রাজনীতি-সচেতন ও নিরহঙ্কারী মানুষ ছিলেন। তিনি অসাধারণ বুদ্ধি, মনোবল, সাহস, সর্বংসহা ও দূরদর্শিতার অধিকারী ছিলেন এবং আমৃত্যু দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক নেতৃত্বকালীন নানা জাতীয় সংকটে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে বঙ্গমাতা একজন রাজনীতি-সচেতন মানুষ হিসেবে সবসময় বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ দিয়েছেন এবং নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গমাতা শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী নন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার জননী নন, শুধু একজন মহিয়সী নারী নন, জাতির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামের বাঁকে বাঁকে নীরবে- নিভৃতে প্রচারবিমুখ হয়ে তিনি অনস্বীকার্য অবদান রেখেছেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবনী চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ, সকল অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, হল প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভেস্টগণ, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব), শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

দিবসটি উপলক্ষ্যে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে বিশেষ দোয়া এবং মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।


August 05, 2023

ডুয়েটে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এঁর ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ আজ শনিবার (০৫ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি.) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এঁর ৭৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক বাণীতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম হাবিবুর রহমান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এটিই ছিল বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত ও বর্বরোচিত ঘটনা। এ নির্মম হত্যাযজ্ঞ না হলে বাংলাদেশ একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সংগঠক, একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র পেতো- তিনি হলেন জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম পথিকৃৎ বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল। তিনি ছিলেন এ দেশের তরুণদের উজ্জ্বল প্রতিনিধি। মাত্র ২৬ বছর বয়সে তাঁর জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগে, এই অল্প সময়ের মধ্যে তিনি দেশপ্রেম থেকে শুরু করে ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সংগঠন পরিচালনার যে প্রতিভা ও দক্ষতার পরিচয় রেখে গেছেন, তা শুধু আমাদের দেশের তরুণদের জন্যই নয়, পৃথিবীর যে কোনো দেশের, যে কোনো কালের তরুণ সমাজের অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত।

তিনি আরো বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল ছিলেন এক বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী অনন্য সংগঠক। দেশ ও সমাজ ভাবনায় শেখ কামাল মাত্র ২৬ বছরের জীবনে বাঙালির সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রের এক বিরল প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ ও সাংস্কৃতিককর্মী এবং সংগঠক ও উদ্যোক্তা হিসেবে অসামান্য উচ্চতায় নিজেকে নিয়ে গেছেন। একই সাথে তিনি ছাত্রনেতা, মুক্তিযোদ্ধা, সেনা কর্মকর্তা, সেতারবাদক, গায়ক, অভিনেতা, ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক এবং সর্বোপরি দেশপ্রেমিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। মেধা ও রুচির প্রয়োগ ঘটিয়ে তরুণ প্রজন্মকে যে সুন্দর ও সম্ভাবনার পথ তিনি দেখাতে চেয়েছিলেন, সেই পথটি যেন আমরা খুঁজে নিতে পারি - এটাই হোক ঐকান্তিক কামনা। তিনি শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানান।

দিবসটি উপলক্ষ্যে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে বিশেষ দোয়া এবং মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

June 17, 2023

ডুয়েটে দুইদিন ব্যাপী ‘নেক্সট জেনারেশন কম্পিউটিং, আইওটি অ্যান্ড মেশিন লার্নিং (এনসিআইএম ২০২৩)’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সম্পন্ন

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ গতকাল শনিবার (১৭ জুন, ২০২৩ খ্রি.) সন্ধ্যায় দুইদিন ব্যাপী ‘নেক্সট জেনারেশন কম্পিউটিং, আইওটি অ্যান্ড মেশিন লার্নিং (এনসিআইএম ২০২৩)’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ -এর আয়োজনে ঢাকার একটি হোটেলে এ কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কনফারেন্সের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, কর্মশক্তির দক্ষতা, জ্ঞান এবং মেধা যে কোনো জাতির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের চালিকাশক্তি। বর্তমান বিশ্বে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এসব বিষয়ের উপর এমনভাবে প্রভাব ফেলে অগ্রসর হচ্ছে, যা ব্যক্তি থেকে প্রতিষ্ঠান- এমনকি সমন্বিত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা এবং সেই সঙ্গে নবায়নযোগ্য শক্তি বিন্যাসের মাত্রাও ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে মানবজাতির জীবনযাপন, কাজ এবং একে অপরের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা একটি নতুন মাত্রা দেখতে পাচ্ছি। ফলে আগামী কয়েক বছর অর্থনীতি এবং শিল্পসহ সকলক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে। এজন্য উৎকর্ষতা সাধনের এই দ্বার প্রান্তে দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সাথে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।  একইসাথে আমাদের নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপর বেশি বেশি গবেষণা ও আলোচনায় সম্পৃক্ত করতে হবে। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির পাশাপাশি সামাজিক বিজ্ঞানকেও গুরুত্ব দিতে হবে। কেননা, মানব জাতির টিকে থাকার অন্যতম চালিক শক্তি হলো নৈতিকতা ও মূল্যবোধ। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে আদর্শ বা ব্রত নিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, সেই আদর্শ তথা সোনার বাংলা গড়ে তোলা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হতে হলে তাঁর আদর্শ ও দর্শনকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যেতে হবে। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সকলকে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণের আহবান জানান। এ সময় তিনি গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি ১৯৫২ সালের সকল ভাষা শহীদ, মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ এবং দুই লক্ষ নির্যাতিত নারীসহ মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া তিনি আয়োজক কমিটি, প্রতিনিধি, মূল বক্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং দেশ-বিদেশের অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। তিনি আরো বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এ ধরণের আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং জ্ঞান বিনিময়ের প্লাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এবং রূপকল্প ২০৪১ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন এগিয়ে যাওয়ার কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে- যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরে প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবে।

কনফারেন্সের পৃষ্ঠপোষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ গবেষণা ও উদ্ভাবনে শিক্ষক-বিজ্ঞানীদের আরো উৎসাহী হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, আমি মনে করি ‘রূপকল্প ২০৪১’ অর্জনের লক্ষ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ ও চতুর্থ  শিল্প বিপ্লবের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষার্থী, গবেষক এবং শিক্ষাবিদদের মানসম্পন্ন গবেষণা সম্পাদনে সহায়তা ও উৎসাহিত করতে আয়োজিত এ কনফারেন্সে উত্থাপিত চিন্তা ভাবনাগুলো শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক, নীতি-নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে জ্ঞানের আদান-প্রদান এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেটওয়ার্ক তৈরিসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে । 

সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও কনফারেন্সটির জেনারেল চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং অরগানাইজিং সেক্রেটারি ও সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম কমিটির চেয়ার অধ্যাপক ড. ফজলুল হাসান সিদ্দিকী। মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন কনফারেন্সের অরগানাইজিং চেয়ার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল কাশেম। এ সময় কনফারেন্সটিতে অংশগ্রহণকারীদের উপস্থাপনা ও কাজের ভিত্তিতে তিনটি ক্যাটাগরিতে সেরাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়।

‘রূপকল্প ২০৪১’ অর্জনের লক্ষ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ ও চতুর্থ  শিল্প বিপ্লবের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষার্থী, গবেষক এবং শিক্ষাবিদদের মানসম্পন্ন গবেষণা সম্পাদনে সহায়তা ও উৎসাহিত করতে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের স্পন্সর হিসেবে ছিল ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘর এবং এটুআই (ধ২র)। টেকনিক্যাল কো-স্পন্সর হিসেবে ছিল ‘আই-ইইই’ ও ‘আই-ইইই কম্পিউটার সোসাইটি’ এবং টেকনিক্যাল সাপোর্ট হিসেবে ছিল ‘আই-ইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার’। এছাড়াও ইলেকট্রনিক মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ‘চ্যানেল ২৪’ ও প্রিন্ট মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’। দুইদিন ব্যাপী এই কনফারেন্সে বাংলাদেশসহ ১১ টি দেশ থেকে ২০০ জনের অধিক গবেষক অংশগ্রহণ করেন এবং ৮৪ টি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়। কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারী দেশসমূহ হচ্ছে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, মালয়েশিয়া, স্পেন, ইন্ডিয়া, সৌদি আরব এবং দক্ষিণ কোরিয়া। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন। 

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর উক্ত বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এটিই প্রথম কোন আন্তর্জাতিক কনফারেন্স।

June 16, 2023

ডুয়েটে দুইদিন ব্যাপী ‘নেক্সট জেনারেশন কম্পিউটিং, আইওটি অ্যান্ড মেশিন লার্নিং (এনসিআইএম ২০২৩)’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের শুরু

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ আজ শুক্রবার (১৬ জুন, ২০২৩ খ্রি.) দুইদিন ব্যাপী ‘নেক্সট জেনারেশন কম্পিউটিং, আইওটি অ্যান্ড মেশিন লার্নিং (এনসিআইএম ২০২৩)’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু হয়েছে। ডুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ-এর (সিএসই) আয়োজনে ‘রূপকল্প ২০৪১’ অর্জনের লক্ষ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ ও চতুর্থ  শিল্প বিপ্লবের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষার্থী, গবেষক এবং শিক্ষাবিদদের মানসম্পন্ন গবেষণা সম্পাদনে সহায়তা ও উৎসাহিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টার অডিটোরিয়ামে সকালে এ কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, এমপি।

এ সময় তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই মাহেন্দ্রক্ষণে ডুয়েটের এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান ও সুপারিশগুলো আমাদের দেশ ও জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও অবদান রাখবে বলে মনে করি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তথ্য-প্রযুক্তির উন্নতি ছাড়া এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাই বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ও দর্শন ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্নের সোনার বাংলা ও রূপকল্প ২০৪১ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমি মনে করি, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথ আরো গতিশীল করতে এই কনফারেন্সের ভূমিকা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি কনফারেন্সের সফলতা কামনা করে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় বাঙালি জাতিকে বিজ্ঞানমনষ্ক ও শিক্ষিত করে তোলার প্রচেষ্টা করেছেন। তাঁর আদর্শকে ধারণ করে বর্তমান সরকার তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সকল কার্যক্রম পরিচালনার ধারা অব্যাহত রেখেছে। এতে কর্মক্ষেত্রে নানা অসুবিধাগুলো দূর হয়ে সময়, শ্রম লাঘব হচ্ছে। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে যে সকল প্রতিবন্ধকতা ছিল তা কাটিয়ে উঠে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে ডিজিটাল সক্ষমতা সৃষ্টি ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের সুবিধা তৈরি হওয়ায় বৈশ্বিক পরিমন্ডলে নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে মানবজাতির জীবনযাপন, কাজ এবং একে অপরের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা নতুন নতুন মাত্রা দেখতে পাচ্ছি। আগামী কয়েক বছর অর্থনীতি এবং শিল্পসহ সকলক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে। এ প্রভাব মোকাবেলায় ‘নেক্সট জেনারেশন কম্পিউটিং, আইওটি অ্যান্ড মেশিন লার্নিং’ বিষয়টি খুব তাৎপর্যপূর্ণ। তবে সমাজ যেন অনুভূতিহীন হয়ে না পড়ে, সে দিকটা খেয়াল রাখতে হবে। অর্থাৎ মানবিক অনুভূতির বিষয়টিকে সব সময় প্রাধ্যন্য দিয়ে মানব কল্যাণমুখী উদ্ভাবন ও গবেষণায় মনোনিবেশ করতে হবে। 

তিনি আরো বলেন, এ ধরণের আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং জ্ঞান বিনিময়ের প্লাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এবং রূপকল্প ২০৪১ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন এগিয়ে যাওয়ার কার্যকরী ভ‚মিকা এবং একাডেমিয়া, শিল্প উদ্যোক্তা, নীতি-নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। তিনি আরো বলেন, আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি, এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক বিশিষ্ট আমন্ত্রিত বক্তা এবং গবেষকদের উপস্থাপনা এবং আলোচনা স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ ও চতুর্থ  শিল্প বিপ্লবের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এ সময় তিনি গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি ১৯৫২ সালের সকল ভাষা শহীদ, মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ এবং দুই লক্ষ নির্যাতিত নারীসহ মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, এমপিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তাঁর সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও কল্যাণ কামনা করেন। এছাড়া তিনি আয়োজক কমিটি, প্রতিনিধি, মূল বক্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং দেশ-বিদেশের অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ বলেন, কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি আমাদের জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে এবং আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলেছে। আমি মনে করি, উন্নত দেশ গড়ার ক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির সমন্বয় সাধন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এ কনফারেন্সে উত্থাপিত চিন্তা ভাবনাগুলো শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক, নীতি-নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে মতবিনিময় ও কর্মপন্থা নির্ণয়ে এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেটওর্য়াক তৈরিসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে । 

সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও কনফারেন্সটির জেনারেল চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কী-নোট স্পীকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। আরো বক্তব্য দেন সেশন চেয়ার ‘আই-ইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার-এর চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আরেফিন ও অরগানাইজিং সেক্রেটারি ও সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন কনফারেন্সের অরগানাইজিং চেয়ার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল কাশেম, অরগানাইজিং কো-চেয়ার ও সেশন কো-চেয়ার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম কমিটি চেয়ার অধ্যাপক ড. ফজলুল হাসান সিদ্দিকী। এ সময় ‘আই-ইইই’ পক্ষ থেকে ভিডিও বার্তা দেন ‘আই-ইইই’ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সাইফুর রহমান।

এ আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘর এবং এটুআই (ধ২র)। টেকনিক্যাল কো-স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ‘আই-ইইই’ ও ‘আই-ইইই কম্পিউটার সোসাইটি’ এবং টেকনিক্যাল সাপোর্ট হিসেবে থাকছে ‘আই-ইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার’। এছাড়াও ইলেকট্রনিক মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ‘চ্যানেল ২৪’ এবং প্রিন্ট মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’। দুইদিন ব্যাপী এই কনফারেন্সে বাংলাদেশসহ ১১ টি দেশ থেকে ২০০ জনের অধিক গবেষক অংশগ্রহণ করবেন এবং ৮৪ টি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হবে। অংশগ্রহণকারীদের উপস্থাপনা ও কাজের ভিত্তিতে সেরাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারী দেশসমূহ হচ্ছে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, মালয়েশিয়া, স্পেন, ইন্ডিয়া, সৌদি আরব এবং দক্ষিণ কোরিয়া। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন। 

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর উক্ত বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এটিই প্রথম কোন আন্তর্জাতিক কনফারেন্স।


June 14, 2023

ডুয়েটে দুইদিন ব্যাপী ‘সাসটেইনেবল ইঞ্জিনিয়ারিং ডেভেলপমেন্ট (আইসিএসইডি-২০২৩)’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সম্পন্ন

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর দুইদিন ব্যাপী ‘সাসটেইনেবল ইঞ্জিনিয়ারিং ডেভেলপমেন্ট (আইসিএসইডি-২০২৩)’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় (১৪ জুন, ২০২৩ খ্রি.) ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত এ কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ডা. দিপু মনি, এমপি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান যুগ টেকসই উন্নয়নের যুগ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশ ও দর্শনে অনুপ্রাণিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে দেশের অবকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সকল খাতে টেকসই উন্নয়নকে বিবেচনায় নিয়ে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে একটি আধুনিক, সমৃদ্ধ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে যাচ্ছেন। কেননা,  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন ছাড়া একটি জাতি কখনোই উন্নতি লাভ করতে পারে না। তাই এ ধরনের কনফারেন্স আয়োজন বর্তমান সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অপরদিকে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তথ্য ও প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ সকল বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আমরা নিজেদেরকে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুত করছি। 

তিনি আরো বলেন, এমন উপযুক্ত সময়ে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়নমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে এই ধরনের আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজনের জন্য ডুয়েটকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আমি মনে করি, এই ধরনের আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ও কোলাবোরেশান তৈরি হচ্ছে। যা টেকসই উন্নয়ননের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদেরকে আরো দক্ষ হয়ে উঠতে সহায়তা করবে। আমি বিশ্বাস করি, এই কনফারেন্স থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান আমাদের দেশ ও জাতি গঠনে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

ডুয়েটের অধিকতর উন্নয়ন (১ম সংশোধনী) প্রকল্পের আয়োজনে কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা চতুর্থ শিল্প বিল্পবের যুগে আছি, যা বিশেষ করে প্রকৌশল শিক্ষাবিদদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। চতুর্থ শিল্প বিল্পবের প্রভাবে প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে পরিবর্তনও খুব দ্রুত গতিতে ঘটছে। তাই একমুখী গবেষণার পরিবর্তে সমন্বিত এবং বহুমাত্রিক বিষয়ে গবেষণাসমূহকে প্রাধ্যান্য দিয়ে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে হবে এবং এই  দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিগুলির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার বিষয়ে জ্ঞান আরোহণের ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আপনারা সকলেই জানেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে আমাদের বর্তমান সরকার বহুমাত্রিক গবেষণার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গবেষণার মাধ্যমে প্রযুক্তি সমৃদ্ধ যে সোনার বাংলা গড়ার পথ দেখিয়েছিলেন, সে পথ ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন। সুতরাং একটি টেকসই সমাজ গঠনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির পাশাপাশি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়নমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভ‚মিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি, ‘সাসটেইনেবল ইঞ্জিনিয়ারিং ডেভেলপমেন্ট (আইসিএসইডি-২০২৩)’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের থেকে নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং জ্ঞান বিনিময়ের প্লাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এবং রূপকল্প ২০৪১ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন এগিয়ে যাওয়ার কার্যকরী ভ‚মিকা এবং একাডেমিয়া, শিল্প উদ্যোক্তা, নীতি-নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।

এ সময় তিনি গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি ১৯৫২ সালের সকল ভাষা শহীদ, মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ এবং দুই লক্ষ নির্যাতিত নারীসহ মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দিপু মনি, এমপিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তাঁর সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু  ও কল্যাণ কামনা করেন। এছাড়া তিনি আয়োজক কমিটি, প্রতিনিধি, মূল বক্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং দেশ-বিদেশের অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ বলেন, টেকসই উন্নয়ন বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী একটি আলোচিত বিষয়। মানব জাতির টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তির সকল সম্ভাবনাগুলো প্রয়োগের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের অনুশীলন করতে তিনি সকলকে আহবান জানান। তিনি বলেন, আমি মনে করি, এ কনফারেন্সে উত্থাপিত চিন্তা ভাবনাগুলো প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, টেকসই উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক, নীতি-নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে মতবিনিময় ও কর্মপন্থা নির্ধারনে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করবে। 

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডুয়েটের অধিকতর উন্নয়ন (১ম সংশোধনী) শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও কনফারেন্স চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. শওকত ওসমান। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত বেস্ট পেপার প্রেজেন্টারদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল ডুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ইনস্টিটিউট অব এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি এবং ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট। পাবলিকেশন পার্টনার হিসেবে ছিল ডুয়েট জার্নাল, এনার্জি অ্যান্ড থার্মোফ্লুইডস্ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং জার্নাল অব রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যান্ড টেকনোলজি। কনফারেন্স পার্টনার হিসেবে ছিল ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। 

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অমিত সূত্রধর ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহবুবা জান্নাত। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন। 

উল্লেখ্য যে, দুইদিন ব্যাপী এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বিভিন্ন বিষয়ে ৫০ টিরও বেশি টেকনিক্যাল পেপার, কী-নোট স্পিচ, ইনভাইটেড স্পিচ ইত্যাদি বিষয় উপস্থাপিত হয়। বিশ্বব্যাপী টেকসই প্রকৌশল উন্নয়ন বিষয়ে সাম্প্রতিক উদ্ভাবন ও গবেষণা নিয়ে শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক ও নীতি-নির্ধারকদের মধ্যে মতবিনিময় এবং কর্মপন্থা নির্ধারণই এ কনফারেন্সের উদ্দেশ্য ছিল। 




June 13, 2023

ডুয়েটে দুইদিন ব্যাপী ‘সাসটেইনেবল ইঞ্জিনিয়ারিং ডেভেলপমেন্ট (আইসিএসইডি-২০২৩)’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন, ২০২৩ খ্রি.) দুইদিন ব্যাপী ‘সাসটেইনেবল ইঞ্জিনিয়ারিং ডেভেলপমেন্ট (আইসিএসইডি-২০২৩)’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু হয়েছে। 

ডুয়েটের অধিকতর উন্নয়ন (১ম সংশোধনী) প্রকল্পের আয়োজনে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ইনস্টিটিউট অব এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি এবং ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট-এর সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টার অডিটোরিয়ামে এ কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে মানবজাতির জীবনযাপন, কাজ এবং একে অপরের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা একটি নতুন মাত্রা দেখতে পাচ্ছি। এর ফলে আগামী কয়েক বছর অর্থনীতি এবং শিল্পসহ সকলক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে। এ প্রভাব মোকাবেলায় সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিষয়টি খুব বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সে বিবেচনায় আজকের এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্মলেনে গবষেণার ক্ষত্রে হিসেবে পাঁচটি সম্ভাবনাময় বিষয়কে বিবেচনা করা হয়েছে। এগুলো হলো- কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়নমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি। আমি মনে করি, এই সম্মলেনের মাধ্যমে গবষেক, শক্ষিাবদি, বজ্ঞিানী, শল্পি-কারখানা উদ্যোক্তাগণ, প্রযুক্তি বশিষেজ্ঞ, নীত-িনর্ধিারক এবং দশে-বদিশেরে শিক্ষার্থীগণ একত্রতি হয়ে তাদরে জ্ঞান আহরণ, শেয়ার ও বকিাশ ঘটয়িে তাদরে নজি নজি ক্ষত্রেে অবদান রাখবে।

তিনি আরো বলেন, আপনারা সকলেই জানেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে আমাদের বর্তমান সরকার বহুমাত্রিক গবেষণার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গবেষণার মাধ্যমে প্রযুক্তির সমৃদ্ধ যে সোনার বাংলা গড়ার পথ দেখিয়েছিলেন, সে পথ ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন। সুতরাং একটি টেকসই সমাজ গঠনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির পাশাপাশি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়নমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভ‚মিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরণের আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং জ্ঞান বিনিময়ের প্লাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এবং রূপকল্প ২০৪১ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন এগিয়ে যাওয়ার কার্যকরী ভ‚মিকা এবং একাডেমিয়া, শিল্প উদ্যোক্তা, নীতি-নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। তিনি আরো বলেন, আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি, এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক বিশিষ্ট আমন্ত্রিত বক্তা এবং গবেষকদের উপস্থাপনা এবং আলোচনা অদূর ভবিষ্যতে আমাদের দেশে প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি শিক্ষাকে উন্নত করবে। এছাড়া তিনি দুইদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজনের জন্য অধিকতর উন্নয়ন (১ম সংশোধনী) প্রকল্প-এর অফিস, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এ সময় তিনি গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, ১৯৭১ সালে এই কিংবদন্তী মহান মানুষটির নেতৃত্বে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করেছে। তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য সংগঠিত ও উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আজ আমাদের সরকার সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি ১৯৫২ সালের সকল ভাষা শহীদ, ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানান। 

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ বলেন, টেকসই উন্নয়ন বর্তমান সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। উন্নত দেশ গড়ার ক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির সমন¦য় সাধন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তি ও প্রকৌশলগত বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে আমাদেরকে দেশ ও জাতি গঠনে কাজ করতে হবে। আমি মনে করি, এ কনফারেন্সে উত্থাপিত চিন্তা ভাবনাগুলো প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, টেকসই উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক, নীতি-নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে মতবিনিময় ও কর্মপন্থা নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করবে। 

ডুয়েটের অধিকতর উন্নয়ন (১ম সংশোধনী) শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শওকত ওসমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন কনফারেন্স সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. নাঈম মো. লুৎফুল হক। কী নোট স্পিকার হিসেবে ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাইসুদ্দিন খান, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, দিল্লীর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. অতুল কুমার মিত্তাল, অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডিলেড-এর স্কুল অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর শিক্ষক ড. ক্রিস্টিয়ান বির্জার। মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল কাশেম, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আকরামুল আলম। 

উল্লেখ্য যে, দুইদিন ব্যাপী এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বিভিন্ন বিষয়ে ৫০ টিরও বেশি টেকনিক্যাল পেপার, কী-নোট স্পিচ, ইনভাইটেড স্পিচ ইত্যাদি বিষয় উপস্থাপিত হবে। বিশ্বব্যাপী টেকসই প্রকৌশল উন্নয়ন বিষয়ে সাম্প্রতিক উদ্ভাবন ও গবেষণা নিয়ে শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক ও নীতি-নির্ধারকদের মধ্যে মতবিনিময় এবং কর্মপন্থা নির্ধারণই এ কনফারেন্সের উদ্দেশ্য। এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠান আগামীকাল (১৪ জুন) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে।

এ আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের পাবলিকেশন পার্টনার ছিল ডুয়েট জার্নাল, এনার্জি অ্যান্ড থার্মোফ্লুইডস্ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং জার্নাল অব রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যান্ড টেকনোলজি। কনফারেন্স পার্টনার হিসেবে ছিল ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অমিত সূত্রধর ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহবুবা জান্নাত। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন। 

June 01, 2023

ডুয়েটে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি’ বিষয়ক কর্মশালা আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন, ২০২৩ খ্রি.) ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সকালে অনলাইন জুম অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ডুয়েটের নৈতিকতা কমিটি, অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স এগ্রিমেন্ট (এপিএ) টিম ও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। এ সময় তিনি জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। সে অঙ্গীকার অনুসারে টেকসই বিনিয়োগ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য দরকার সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা ও সমৃদ্ধির সকল সুযোগ এবং সম্ভাবনার সকল দ্বার উন্মোচিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। তাই দুর্নীতি দমনে রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও আইনের প্রয়োগ মুখ্য হলেও তা বাস্তবায়নে সরকারের সঙ্গে জনগণেরও দায়িত্ব রয়েছে। দুর্নীতি দমনে প্রয়োজন সরকার ও জনগণের সমন্বিত পদক্ষেপ। 

তিনি আরো বলেন, স্বচ্ছতা, দুর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সব ধরনের সরকারি কর্মকান্ডের জবাবদিহিতা জনগণের কাছে নিশ্চিত করতে হবে। তিনি সকলকে দুর্নীতি প্রতিরোধে এগিয়ে এসে প্রত্যেককে নিজেদের জায়গা থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে আহবান জানান। তিনি সকলকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও দর্শনকে লালন করে দেশ প্রেমের মন্ত্রে উজ্জ্বীবিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত ও স্মার্ট  বাংলাদেশ গড়ার আহবান জানান।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ডুয়েটের নৈতিকতা কমিটির সদস্য-সচিব ও আইকিউএসি-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রাজু আহমেদ। টেকনিক্যাল সেশনে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা অফিস, গাজীপুর-এর উপ-পরিচালক জনাব মো. মোজাহার আলী সরদার। কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

May 31, 2023

ডুয়েটে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল এবং সিটিজেন চার্টার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল এবং সিটিজেন চার্টার বিষয়ক প্রশিক্ষণ আজ বুধবার  (৩১ মে, ২০২৩ খ্রি.) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে আজ সকালে ডুয়েটের নৈতিকতা কমিটি, অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স এগ্রিমেন্ট (এপিএ) টিম ও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামটি উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। এ সময় তিনি জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সে আলোকে আইন-কানুন, নিয়মনীতি, পরিকল্পনা ও বিভিন্ন কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সামগ্রিক উদ্যোগের সহায়ক কৌশল হিসেবে ‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’ প্রণয়ন করা হয়েছে। একটি জাতিকে তার কাক্সিক্ষত সাফল্যে পৌঁছার জন্য শুধু আইন করে আদর্শ জাতি হিসেবে গড়ে তোলা যায় না, এর জন্য প্রয়োজন নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অনুশীলন। 

তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রত্যেককে নিজেদের জায়গা থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে। এছাড়া স্বচ্ছতা, দুর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সব ধরনের সরকারি কর্মকান্ডের জবাবদিহিতা জনগণের কাছে নিশ্চিত করতে হবে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও সবসময় জনগণের কাছে সব ধরনের সরকারি কর্মকান্ডের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বলেছেন। তিনি সকলকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও দর্শনকে লালন করে দেশ প্রেমের মন্ত্রে উজ্জ্বীবিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত ও স্মার্ট  বাংলাদেশ গড়ার আহŸান জানান।

প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে সভাপতিত্ব করেন ডুয়েটের নৈতিকতা কমিটির সদস্য-সচিব ও আইকিউএসি-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রাজু আহমেদ। প্রশিক্ষণে টেকনিক্যাল সেশনে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ^বিদ্যালয়,গাজীপুর-এর ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আবু আল বাশার। প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডুয়েটের নৈতিকতা কমিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। 

অন্যদিকে দুপুরে সিটিজেন চার্টারের প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত আরেকটি প্রশিক্ষণ অনষ্ঠিত হয়। এ প্রশিক্ষণটিও উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন ডুয়েটের অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স এগ্রিমেন্ট (এপিএ) টিমের টিম লিডার ও আইকিউএসি-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রাজু আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন সিটিজেন চার্টার পরিবীক্ষণ কমিটির আহŸায়ক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালাম। প্রশিক্ষণে টেকনিক্যাল সেশনে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক (কাউন্সিল) জনাব নাজনীন আক্তার। প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও অফিসের এপিএ সংক্রান্ত বিভিন্ন পর্যায়ের ফোকালপয়েন্টবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

May 23, 2023

ডুয়েটে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রাপ্তির পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়। ঐতিহাসিক এই দিনটির পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

ঐতিহাসিক এই দিনটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার দুপুরে (২৩ মে, ২০২৩ খ্রি.) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টার অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, এটি ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রনেতার প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অসামান্য অবদান রাখায় বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকে আনুষ্ঠনিকভাবে এই পদক দেওয়া হয়েছিলো। মর্যাদপূর্ণ এ পুরস্কার প্রাপ্তির পর বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এ সম্মান কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয়। এ সম্মান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সেনানীদের। ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক সমগ্র বাঙালি জাতির।’ 

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদকে সংবিধানে গ্রহণ করেছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংঘাতময় পরিস্থিতি উত্তরণে তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শান্তি ও ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের ফলে আন্তর্জাাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের গৌরব ও মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবস্থান ছিল স্পষ্ট। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিরাজিত সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তিই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরাধ্য এবং এখানেই তাঁর রাজনৈতিক চেতনার মাহাত্ম্য। এ কারণেই ওই বছর এশীয় শান্তি সম্মেলনে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক বঙ্গবন্ধুকে পরিয়ে দিতে গিয়ে তৎকালীন পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন, তিনি বিশ্বের এবং তিনি বিশ্ববন্ধু।’ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনের ভিত্তিতে শান্তির বার্তা নিয়ে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি পৃথিবীর বুকে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে চলেছে

বক্তব্যে উপাচার্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চার জন্য সকলকে আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নকে জনমুখী ও টেকসই করতে সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনে দীক্ষিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশবত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এছাড়া তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে দুই লক্ষ সম্ভ্রম হারানো মা-বোনসহ সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান্ব

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ  বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিপীড়িত, নিষ্পেষিত, শোষিত, বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে বিশ্ব মানবতার কল্যাণে শান্তির সপক্ষে অবদান রেখেছেন। ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তি তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (অ. দা.), অফিস প্রধানগণসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


May 17, 2023

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে ডুয়েট উপাচার্যের বাণী

আজ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জ্যেষ্ঠ কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৪৩ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ বুধবার (১৭ মে, ২০২৩ খ্রি.) সকালে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান এক বাণীতে বলেন, ১৯৮১ সালের এই দিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে এদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়েছিল। তাই এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মাইলফলক ও স্মরণীয় দিন। 

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাল রাতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্র ও স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। এ সময় তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যাদেরকে ঘাতক চক্র ও তাদের দোসররা দেশে ফিরতে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। বাবা, মা, ভাইসহ আপনজনদের হারানোর পাহাড়সম বেদনা বুকে ধারণ করে তিনি দীর্ঘদিন নানা প্রতিক‚লতার মধ্যে নির্বাসিত জীবন কাটান। অবশেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে বিমান যোগে কলকাতা হয়ে দেশে ফিরে আসেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে অন্ধকার থেকে আলোর পথে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়।

তিনি আরো বলেন, তৎকালীন সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালে এই দিনে বিমান বন্দর ও শেরে বাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। দেশে ফিরেই তিনি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য একাগ্রচিত্তে ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ শুরু করেন। তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। এরপর দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। এখন পর্যন্ত চার বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত দেশে উত্তরণ হতে যাচ্ছে। নানা  প্রতিকূলতা সত্ত্বেও  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং জনকল্যাণমূখী কার্যক্রম সারা বিশ্বে আজ প্রশংসা অর্জন করেছে। করোনা মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্বে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজসহ অসংখ্য উন্নয়ন কার্যক্রম নিরবিচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের বিস্ময়, উন্নয়নের রোল মডেল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঐকান্তিক চেষ্টা ও যোগ্য নেতৃত্বে একের পর এক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বর্তমান সরকার এরই মধ্যে মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। তিনি দেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে রূপকল্প ২০২১ এর সফল বাস্তবায়নের পথ ধরে রূপকল্প ২০৪১ ও ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ এর মতো দূরদর্শী কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন।

এছাড়া উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাযাত্রায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের আগেই বিশ্বের বুকে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও কল্যাণ কামনা করেন।

May 07, 2023

জনদরদী ও গণমানুষের নেতা শহীদ আহ্সান উলাহ্ মাস্টার - ডুয়েট উপাচার্য

সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বহুমাত্রিক শক্তিতে আলোকিত জনদরদী ও গণমানুষের নেতা শহীদ আহ্সান উলাহ্ মাস্টারের ১৯তম শাহাদাতবার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। তাঁর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ রবিবার (৭ মে, ২০২৩ খ্রি.) এক বাণীতে উপাচার্য বলেন, গণতন্ত্রকামী এই ত্যাগী ও জননন্দিত নেতা শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়সহ মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। এজন্য তাঁকে বহুবার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। মেহনতি মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়সহ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

বাণীতে উপাচার্য আরো বলেন, দেশবরেণ্য রাজনীতিক শহীদ আহ্সান উলাহ্ মাস্টার ছিলেন সংগঠন অন্তপ্রাণ মানুষ। তিনি মাটির মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে নিঃস্বার্থভাবে রাজনীতি করে গেছেন। গণমানুষের সুখে-দুঃখে নিজেকে নিবেদিত করে আপামর জনগণের নেতা হয়ে উঠেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করে শহীদ আহ্সান উলাহ্ মাস্টারও কর্মী থেকে সংগঠক হয়েছেন। ধীরে ধীরে গণমানুষের রাজনীতিকে ধারণ করে তিনি সংগঠক থেকে জাতীয় নেতায় পরিণত হয়েছেন। তিনি ছিলেন ব্যতিক্রমী দেশপ্রেমিক একজন নেতার প্রতিকৃতি। তিনি গতানুগতিক স্বার্থবাদী রাজনীতির পরিবর্তে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থেকে বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ও দর্শনকে ধারণ করতেন। দুঃসময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজনীতির মাঠে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছিলেন। রাজনীতি যখন পেশি ও অর্থশক্তির উৎস হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছিল তখন তিনি মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতির কথা বলে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর মতো তিনিও প্রমাণ করেছেন নিঃস্বার্থ রাজনীতির চেয়ে আর বড় কোনো রাজনীতি হতে পারে না। ফলে কালের পরিক্রমায় তিনি একজন আদর্শ শিক্ষক থেকে রাজনীতির শিক্ষককে পরিণত হয়েছিলেন। এভাবেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন কিংবদন্তি নেতা।

তিনি আরো বলেন, শহীদ আহ্সান উলাহ্ মাস্টার ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল একজন জননন্দিত শ্রমিক নেতা। কৃষক-শ্রমিক তথা আপামর মেহনতি মানুষেরও তিনি ছিলেন অতি আপনজন। একজন ত্যাগী ও নিবেদিত নেতা হিসেবে তিনি জাতীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সাহস ও মনোবল নিয়ে মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়সহ গণতন্ত্রের বিকাশে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছন। শহীদ আহ্সান উলাহ্ মাস্টারের মতো ত্যাগী, সংগ্রামী ও জনদরদী নেতাকে বাঙালি জাতি আজীবন স্মরণ করবে এবং তাঁর সাহসী নেতৃত্ব নতুন প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।

উপাচার্য দেশবরেণ্য রাজনীতিক শহীদ আহ্সান উলাহ্ মাস্টারের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।