November 28, 2024

ডুয়েটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে (২৮ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি.) বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার দাস। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গাজীপুরের প্রথম শহিদ শাকিল পারভেজ এর সম্মানিত পিতা জনাব মো. বেলায়েত হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়ব। অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, হল প্রভোস্ট, অফিস প্রধানবৃন্দ সহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে যে জুলাই বিপ্লব সংগঠিত হয়েছে, তা ইতিহাসে বিরল উল্লেখ করে বলেন, ‘এই আন্দোলনে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ধনী-গরিব, কুলি-মজুর, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারÑ এক কথায় সকল পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেছিল। যার ফলে এই আন্দোলনকে সফল করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিল সদ্য স্কুল পেরুনো কিশোরী কন্যা, ভার্সিটি পড়ুয়া টগবগে যুবক, ছয়-সাত বছরের নিষ্পাপ শিশু এবং খেটে খাওয়া আমার দিনমজুর ভাইটা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিটই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে, ইনশাআল্লাহ।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই পরবর্তী এই দেশ পুনর্গঠনে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের বিপ্লব তখনই সার্থক হবে যখন বিপ্লবের আকাক্সক্ষা তথা বৈষম্যহীন একটা সমাজ আমরা গড়ে তুলতে পারবো। এজন্য প্রয়োজন দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক। আমি মনে করি, আমার সামনে বসে থাকা প্রতিটা শিক্ষার্থী সেই কাক্সিক্ষত যুবক, যারা এই দেশকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। এজন্য আমি তোমাদের অনুরোধ করবো, তোমরা তোমাদের মেধা ও যোগ্যতাকে আরো শাণিত করো।’

তিনি ‘আবু সাইদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ স্লোগানকে বুকে ধারণ করে ডুয়েটকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত এই তরুণ প্রজন্ম জুলাইয়ের এই স্পিরিটকে বুকে ধারণ করবে, কখনোই পথ হারাবে না বাংলাদেশ।’ তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গাজীপুরের প্রথম শহিদ, শহিদ শাকিল পারভেজের পিতা জনাব মো. বেলায়েত হোসেন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন জাতির সংগ্রামী ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় উল্লেখ করে বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহিদ ও আহতদের আত্মত্যাগ আমাদের স্বাধীনতা ও ন্যায়ের পথে চলায় নতুন করে আলো জ্বালিয়েছে। এই গণআন্দোলন ও অভ্যুত্থান শুধু একটি অধ্যায় নয়; এটি ন্যায়বিচার ও সাম্যের ভিত্তি স্থাপনের এক ঐতিহাসিক মাইলফলক।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এখন দেশের সর্বস্তরে সংস্কারকে বাস্তবমুখী করে একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে মনোনিবেশ করতে হবে। তবেই আমরা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো এবং আমাদের প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত, সাম্যভিত্তিক এবং ন্যায়ের সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।’

অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গাজীপুরের প্রথম শহিদ শাকিল পারভেজ এর সম্মানিত পিতা জনাব মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘শহিদ শাকিল পারভেজ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য প্রথম সারিতে থেকে সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, প্রতিরোধের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতো। জ্ঞান হওয়ার পর থেকে শহিদ শাকিল মানবসেবায় নিয়োজিত ছিল।’ তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জালিমশাহী, ফ্যাসিবাদী, স্বৈরশাসকদের পৈশাচিক খুনের বিচারের লক্ষ্যে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি করেন।

অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন ডুয়েটের ১৯-সিরিজের ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শাজাহান চৌধুরী ও সিই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. তৌহিদুল ইসলাম রানা এবং ডুয়েটের ২০-সিরিজের ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাসেল মিয়া, স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী মোহনা আক্তার ও এমএমই বিভাগের শিক্ষার্থী জুয়েল রানা।

অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়ব বৈষম্যহীন ও বিভেদহীন বাংলাদেশ গড়ার আহŸান জানিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডুয়েটের আর্কিটেকচার বিভাগের প্রভাষক সুনিলা বিনতে আহসান ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক সাইফুল্লাহ্ মাহমুদ। পরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে সকালে ডুয়েটিয়ান ব্লাড ডোনেশন সোসাইটি আয়োজিত ও রিদম ব্লাড সেন্টারের কোলাবোরেশনে ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ), হল প্রভোস্টবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ এবং ডুয়েটিয়ান ব্লাড ডোনেশন সোসাইটির উপদেষ্টাবৃন্দ, সদস্যবৃন্দ, কনভেনর তাছনীম আলম সাঈদী ও সভাপতি মো. যোবায়ের হোসেন সহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

November 27, 2024

ডুয়েটে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন সম্পন্ন হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি.) রাত ৮:৩০ ঘটিকায় অনলাইন প্লাটফর্মে এই ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।

ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়ব। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে ডুয়েটের বিভিন্ন বিভাগের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম সেমিস্টারে ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন নবীন শিক্ষার্থীদেরকে ডুয়েটের সবুজ ও শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাসে স্বাগতম জানান। তিনি ডুয়েটের নিজস্ব মৌলিকত্বের মাধ্যমে ইতোমধ্যে দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জনের বিষয়টি সকলকে অবগত করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় উচ্চশিক্ষা, গবেষণা এবং প্রকাশনায় ডুয়েটকে বিশ্বের দরবারে অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা এবং গবেষণা ও প্রকাশনায় ডুয়েটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শিক্ষার্থীদের সময়ানুবর্তিতা মেনে ও শৃঙ্খলার সঙ্গে একাডেমিক কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করে বিশ্বের দরবারে ডুয়েটের সুনাম আরও উজ্জ্বল করার জন্য সকলের প্রতি আহŸান জানান।

ডুয়েটের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. শরাফত হোসেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদ আলম, বিভাগীয় প্রধানদের মধ্যে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার দাস এবং অতিরিক্ত পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) অধ্যাপক ড. মো. আরিফুর রহমান। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের নিয়ম-কানুন বিষয়ে প্রশ্নোত্তর সেশন সম্পন্ন হয়। 

সবশেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব), অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়ব নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান এবং প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। 

November 18, 2024

সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হলো ডুয়েটের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও বি.আর্ক প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও বি.আর্ক প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে গতকাল ১৭ নভেম্বর (রবিবার) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, আর্কিটেকচার বিভাগ, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ-এর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৮ নভেম্বর (সোমবার) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, মেটেরিয়াল্স এন্ড মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ-এর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার সহ অন্যান্য অধ্যাপকবৃন্দ পরীক্ষার হলসমূহ পরিদর্শন করেন। নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় উপাচার্য মহোদয় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

November 11, 2024

ডুয়েটে ‘কোলাবোরেশন অ্যান্ড রিসার্চ’ বিষয়ক অনলাইন মিটিং অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ ‘কোলাবোরেশন অ্যান্ড রিসার্চ’ বিষয়ক অনলাইন মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকেলে (১০ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি.) অনলাইনে অনুষ্ঠিত এ মিটিংয়ে যুক্ত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। এ সময় যুক্ত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মালয়েশিয়ার সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানো-ম্যাটেরিয়ালস্ অ্যান্ড এনার্জি টেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারের হেড ও ডিসটিন্গুইজ রিসার্চ প্রফেসর ড. মো. সাইদুর রহমান। গত ৩১ অক্টোবর ‘হাই ইমপ্যাক্ট রিসার্চ, ইন্টারন্যাশনাল কোলাবোরেশন অ্যান্ড রিসার্চ স্ট্র্যাটেজিস্’ বিষয়ক অনুষ্ঠিত সেমিনারে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আগ্রহের ফলে অতি দ্রুত কোলাবোরেটিভ রিসার্চ, ফান্ডিং সাপোর্ট, স্কলারশীপ এবং ফ্যাকাল্টি ও শিক্ষার্থী এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু করার উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যে ফলোআপ হিসেবে এই মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন অনলাইন মিটিংয়ে যুক্ত হওয়ার জন্য প্রফেসর ড. মো. সাইদুর রহমানকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষা, গবেষণা, প্রকাশনা এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোলাবোরেশনের মাধ্যমে ডুয়েটকে একটি শীর্ষস্থানীয় অবস্থানে নিয়ে যেতে কাজ করছি। এক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোলাবোরেটিভ রিসার্চ, জয়েন্ট প্রজেক্ট ও পাবলিকেশন, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম,  বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি, শিক্ষার্থীদের জয়েন্ট সুপারভিশন, শর্ট ভিজিট, ফ্যাকাল্টি ও শিক্ষার্থী এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে চাই।’ এ ব্যাপারে তিনি সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন। 

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার রিসার্চ, ফান্ডিং সাপোর্ট, স্কলারশীপ ও কোলাবোরেশন অ্যান্ড রিসার্চ স্ট্র্যাটেজিস প্রণয়নের প্রতি গুরুত্ব¡ তুলে ধরে কিভাবে শিক্ষার্থীদের সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যৌথভাবে কাজ করা যায়, সে বিষয়গুলো আলোকপাত করেন।  

প্রফেসর ড. মো. সাইদুর রহমান ডুয়েট ও সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোলাবোরেশনের মাধ্যমে রিসার্চ, জয়েন্ট প্রজেক্ট ও পাবলিকেশন, সেমিনার, ল্যাব ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি, শিক্ষার্থীদের জয়েন্ট সুপারভিশন, শর্ট ভিজিট, ফ্যাকাল্টি ও শিক্ষার্থী এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের জন্য স্ট্র্যাটেজিস্ ও পলিসি নিয়ে আলোকপাত করেন। তিনি ডুয়েটের শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার, উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, স্কলারশীপ ও গবেষণা সেক্টরে সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। 

উল্লেখ্য, গত ৩১ অক্টোবর ‘হাই ইমপ্যাক্ট রিসার্চ, ইন্টারন্যাশনাল কোলাবোরেশন অ্যান্ড রিসার্চ স্ট্র্যাটেজিস্’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উক্ত সেমিনারে টেকনিক্যাল সেশনে কী-নোট স্পীকার প্রফেসর ড. মো. সাইদুর রহমান হাই ইমপ্যাক্ট রিসার্চ, ইন্টারন্যাশনাল কোলাবোরেশন, রিসার্চ স্ট্র্যাটেজিস বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি তাঁর গবেষণা অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার, উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, স্কলারশীপ ও গবেষণা সেক্টরে যুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করেন।

November 07, 2024

ডুয়েটে তিনদিন ব্যাপী ‘রিসেন্ট ইনোভেশন ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্কিটেকচার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স উদ্বোধন

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ তিনদিন ব্যাপী ‘রিসেন্ট ইনোভেশন ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্কিটেকচার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ (আইআইসিএএসডি-২০২৪) বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু হয়েছে। 

ডুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার সকালে (০৭ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি.) বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এ কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৃষ্ঠপোষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত ওসমান। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কনফারেন্স সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়ব।

উদ্বোধনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘এই কনফারেন্সটি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার বিষয়ে টেকসই অনুশীলনকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। কনফারেন্সটির মাধ্যমে গবেষণার ক্ষেত্রে আমাদের যে সব চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাগুলো রয়েছে, সেগুলো থেকে ধারণা নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমÐলে প্রয়োগে আপনারা অবদান রাখবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। জলবায়ু পরিবর্তন, নগরায়ন এবং সম্পদ হ্রাসের মতো বিষয়গুলোর কার্যকর সমাধান বের করে বিশ্বের সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচারের অবকাঠামোগুলোর ক্ষেত্রে যে নতুন নতুন উদ্ভাবনসহ পরিবর্তন ঘটছে, সেগুলো কেবল কার্যকরী এবং মজবুত নয় বরং পরিবেশবান্ধব ও টেকসই হতে হবে।’ 

তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রাক্কালে ও পঞ্চম শিল্প বিপ্লব আবির্ভাবের সময় এ ধরণের আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং জ্ঞান বিনিময়ের প্লাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একাডেমিয়া, শিল্প উদ্যোক্তা, নীতি-নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। তিনি আরো বলেন, আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি, এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক বিশিষ্ট আমন্ত্রিত বক্তা এবং গবেষকদের উপস্থাপনা এবং আলোচনা অদূর ভবিষ্যতে আমাদের দেশে প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি শিক্ষাকে উন্নত করবে। এছাড়া তিনি তিনদিন ব্যাপী এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট অনুষদ, বিভাগসহ সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন, ‘সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার ও টেকসই উন্নয়ন বর্তমান সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এই কনফারেন্সের মাধ্যমে গবেষক এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচারের বিভিন্ন শাখায় তাদের নতুন ধারণা, উদ্ভাবনী এবং সমস্যা সমাধানের কৌশলগুলিকে পরস্পরের মধ্যে আদান-প্রদানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ফোরাম তৈরি এবং শিক্ষার্থীদের টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে সাম্প্রতিক উদ্ভাবন ও গবেষণা সম্পর্কে জানার সুযোগ সৃষ্টি করবে। এ কনফারেন্সে উপস্থাপিত উদ্ভাবনগুলো প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক, নীতি-নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে মতবিনিময় ও কর্মপন্থা নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করবে।’

কনফারেন্সে কী নোট স্পিকার হিসেবে ছিলেন জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইউওয়া তাকাহাসি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ব্রæনাই-এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান। অনুষ্ঠানে কো-চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আকরামুল আলম, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালাম ও আর্কিটেকচার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. বায়েজিদ ইসমাইল চৌধুরী।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে সাম্প্রতিক উদ্ভাবন ও গবেষণা নিয়ে শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক ও নীতি-নির্ধারকদের মধ্যে মতবিনিময় এবং কর্মপন্থা নির্ধারণই এ কনফারেন্সের উদ্দেশ্য। তিনদিন ব্যাপী এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বিভিন্ন বিষয়ে ৭টি কী-নোট স্পিচ, ১১২টিরও বেশি টেকনিক্যাল পেপার ইত্যাদি বিষয় উপস্থাপিত হবে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক তাসনিম নিশাত ঐশী ও আর্কিটেকচার বিভাগের প্রভাষক সুনিলা বিনতে আহসান।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন।

October 31, 2024

ডুয়েটে ‘হাই ইমপ্যাক্ট রিসার্চ, ইন্টারন্যাশনাল কোলাবোরেশন অ্যান্ড রিসার্চ স্ট্র্যাটেজিস্’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও  প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ ‘হাই ইমপ্যাক্ট রিসার্চ, ইন্টারন্যাশনাল কোলাবোরেশন অ্যান্ড রিসার্চ স্ট্র্যাটেজিস্’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে (৩১ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি.) বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ টেকনিক্যাল সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। 

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি)-এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি ও সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। সেমিনারে টেকনিক্যাল সেশনে কী-নোট স্পীকার হিসেবে সেশন পরিচালনা করেন মালয়েশিয়ার সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানো-ম্যাটেরিয়ালস্ অ্যান্ড এনার্জি টেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারের হেড ও ডিসটিন্গুইজ রিসার্চ প্রফেসর ড. মো. সাইদুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন সেমিনারে যুক্ত হওয়ার জন্য প্রফেসর ড. মো. সাইদুর রহমানকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষা, গবেষণা, প্রকাশনা এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোলাবোরেশনের মাধ্যমে ডুয়েটকে একটি শীর্ষস্থানীয় অবস্থানে নিয়ে যাবো।’ তিনি এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সেমিনারে যুক্ত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার রিসার্চ, ফান্ডিং, স্কলারশীপসহ তত্ত¡ীয় ও প্রায়োগিক গবেষণার বিষয়ে গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের দেশে-বিদেশে গবেষণাধর্মী কার্যক্রমে অংশগ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।  

টেকনিক্যাল সেশনে কী-নোট স্পীকার প্রফেসর ড. মো. সাইদুর রহমান হাই ইমপ্যাক্ট রিসার্চ, ইন্টারন্যাশনাল কোলাবোরেশন, রিসার্চ স্ট্র্যাটেজিস বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি তাঁর গবেষণা অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার, উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, স্কলারশীপ ও গবেষণা সেক্টরে যুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করেন। মেকানিক্যাল বিভাগের প্রভাষক জনাব সাইফুল্লাহ মাহমুদের সঞ্চালনায় সেমিনারটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডীন, বিভাগীয় প্রধান ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। 

October 21, 2024

ডুয়েটের উপ-উপাচার্য হলেন অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার

ঢাকা প্রকৌশল ও  প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর দ্বিতীয় উপ-উপাচার্য হিসেবে আজ সোমবার বিকেলে (২১ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি.) দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রকৌশল শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার।  

যোগদানের পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, শিক্ষা ও গবেষণায় সমৃদ্ধ ডুয়েট বাস্তবায়ন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এক্ষেত্রে তিনি ডুয়েটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকল ধরনের সহযোগিতা কামনা করেন।

আজ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোছা: রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত উপ-উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তিনি চার বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার ডুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক। তিনি একজন ম্যাটেরিয়ালস্ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ। এর আগে তিনি ডুয়েটের ডীন, বিভাগীয় প্রধানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ডুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক (ইঞ্জি.) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি জাপানের সাইতামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যন্ত্রকৌশল বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর ৫৫ টিরও অধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নাল ও কনফারেন্স প্রোসিডিংস প্রকাশিত হয়েছে এবং তিনি বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বরিশাল জেলার মুলাদি উপজেলার পাতার চর গ্রামে ১৯৭৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম আব্দুল জব্বার এবং মাতা সুরাইয়া বেগম। ব্যক্তি জীবনে তিনি তিন সন্তানের জনক। 

October 21, 2024

ডুয়েটের উপাচার্য হলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর সপ্তম উপাচার্য হিসেবে আজ সোমবার বিকেলে (২১ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি.) দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রকৌশল শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।  

দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমেই আল্লাহ তাআলার দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। আমি এ প্রতিষ্ঠানেরই একজন শিক্ষক। সকলের সহযোগিতা নিয়ে ডুয়েটকে শিক্ষা, গবেষণা এবং প্রকাশনায় বিশ্বের দরবারে অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলবো।’ এছাড়া তিনি ডুয়েটকে প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা এবং গবেষণা ও প্রকাশনায় এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

আজ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোছা: রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত উপাচার্য  নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তিনি চার বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ডুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক। তিনি একজন থার্মাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্লুইড মেকানিক্স ও এনার্জি এবং রেফ্রিজারেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ। এর আগে তিনি ডুয়েটের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, হলের দায়িত্বসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-এর যন্ত্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক (ইঞ্জি.) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি জাপানের নাগোয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ২০১০ সালে থার্মো-ফ্লুইড মেকানিক্স বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০১৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনছিয়ন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ২০১৫ সালে ইয়েনছেই ইউনিভার্সিটিতে পোস্টডক্টরাল রিসার্চ করেছেন। তাঁর ৭৫ টিরও অধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নাল ও কনফারেন্স প্রোসিডিংস প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বিএসসি, এমএসসি ও পিএইচডি পর্যায়ে ২৭০ জন শিক্ষার্থীকে সুপারভাইজ ও গাইড করেছেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্পে কারিগরি বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে ১৯৭৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ফয়েজুল হোছাইন এবং মাতা মোছা. আনোয়ারা বেগম। ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। 

October 05, 2024

ডুয়েটে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। ‘শিক্ষকের কণ্ঠস্বর: শিক্ষায় নতুন সামাজিক অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ শনিবার (০৫ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রি.) সকালে দিবসটি উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন (একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে শুভেচ্ছা জানান। শুভেচ্ছা বাণীতে তিনি শিক্ষকদের শিক্ষা ও গবেষণায় আত্মনিয়োগ এবং নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বৈষম্যহীন দেশ গড়ার উদাত্ত আহবান জানান।

বর্ণাঢ্য র‌্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. খসরু মিয়া, যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোছা. তহুরা পারভীন। আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

September 01, 2024

ডুয়েট ডে- ২০২৪ উদযাপিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর ২১তম বর্ষপূতি উপলক্ষ্যে ‘প্রযুক্তি দিয়ে গড়ব দেশ/ বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ’ শ্লোগানকে সামনে রেখে ডুয়েট ডে- ২০২৪ উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ রবিবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, র‌্যালি, কেক কাটা ও পায়রা উড়িয়ে ডুয়েট ডে- ২০২৪ এর উদ্বোধন করা হয়। এরপর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালিত হয়। এছাড়া বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ডুয়েট ডে উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ না পাওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে জরুরি একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত ওসমান। আরো বক্তব্য রাখেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার দাস। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. শরাফত হোসেন ও বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদ আলম। এছাড়া অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন ডুয়েটের যানবাহন দপ্তরের উপ-পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুন আল রশীদ ও বিদায়ী ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আমান উল্লাহ। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে ডুয়েটকে এগিয়ে নিয়ে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানান। পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মনির হোসেন ও তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শাহজাহান চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ ডুয়েটের বিভিন্ন ক্লাবসমূহের স্টল পরিদর্শন করেন। এ স্টলগুলোর মধ্যে রয়েছে সৃজনী, এএসসিই স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার, ডুয়েট রোবোটিক্স্র ক্লাব, স্থাপত্য সংঘ, ডুয়েট ডিবেটিং সোসাইটি, ডুয়েট টেক্সটাইল ক্যারিয়ার অ্যান্ড রিসার্চ ক্লাব, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, ডুয়েট কম্পিউটার সোসাইটি, ডুয়েট সাংবাদিক সমিতি, ম্যাথ ক্লাব, ডুয়েট ক্যারিয়ার অ্যান্ড রিসার্চ ক্লাব, ডুয়েট স্পোর্টস ক্লাব। দিবসটি উপলক্ষ্যে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে আরো ছিল ছাত্র-শিক্ষক ও ছাত্র-কর্মকর্তা প্রীতি ক্রিকেট প্রতিযোগিতা এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

June 11, 2024

ডুয়েটে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১১ জুন, ২০২৪ খ্রি.) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন টিম ও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের উদ্যোগে ই-গভর্নেন্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। 

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য ১৫ আগস্টে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র  শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বাঙালি জাতিকে বিজ্ঞানমনস্ক, প্রযুক্তিনির্ভর ও শিক্ষিত করে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধু সবসময় মনে-প্রাণে চেষ্টা করেছেন। তাঁর আদর্শকে ধারণ করে বর্তমান সরকার তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের মাধ্যমে সকল উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এর ফলে ডিজিটাল সক্ষমতা সৃষ্টি ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের সুবিধা তৈরি হওয়ায় আমাদের বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশে সবকিছু হবে প্রযুক্তির মাধ্যমে। সেখানে নাগরিকেরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে। এর মাধ্যমে সমগ্র অর্থনৈতিক কার্যক্রমসহ দেশের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সরকারের সকল কার্যক্রম ও সমাজের নাগরিকদের স্মার্ট করে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যেই বিশাল কর্মযজ্ঞ চলমান রয়েছে। এছাড়া চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আলোকে স্মার্ট বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লক চেইন, রোবোটিক্স, বিগ ডাটা, সাইবার নিরাপত্তার মতো উন্নত প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা যদি সরকারের এই মহাপরিকল্পনায় প্রত্যেকের দায়িত্বটুকু সঠিকভাবে পালন করি, আশা করা যায় আগামী ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ একটি উন্নত ও স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। 

উপাচার্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার চারটি ভিত্তি তথা স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি-এর স্তম্ভগুলো সফলভাবে বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং তাঁর সুযোগ্য পুত্র আর্কিটেক অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার স্বপ্নকে আরো বেগবান করতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন টিমের ইনোভেশন অফিসার ও পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক ও আইসিটি সেলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফজলুল হাসান সিদ্দিকী। আইসিটি সেলের কম্পিউটার প্রোগ্রামার ইঞ্জিনিয়ার সোলাইমান আহমেদের সঞ্চালনায় কর্মশালাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

June 03, 2024

ডুয়েটে ‘তাপ প্রবাহ সম্পর্কিত অসুস্থতা’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  (ডুয়েট), গাজীপুর-এ ‘তাপ প্রবাহ সম্পর্কিত অসুস্থতা’ বিষয়ক সেমিনার আজ সোমবার (০৩ জুন, ২০২৪ খ্রি.) অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে আমরা প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও তাপ প্রবাহসহ নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন  শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচিসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছেন। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উদ্ভাবনী ধারণার বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। উপাচার্য আরো বলেন, আমাদের উচিত পরিবেশ সুরক্ষার জন্য বৃক্ষরোপণসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং তাপ প্রবাহ সম্পর্কিত অসুস্থতা সম্পর্কে নিজেদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা। এ সময় তিনি ১৫ আগস্টে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। 

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স এগ্রিমেন্ট (এপিএ) টিমের টিম লিডার ও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রাজু আহমেদের সভাপতিত্বে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর-এর মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল ও মেডিকেল সেন্টারের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মেডিকেল সেন্টারের অফিস প্রধান ও ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. আলী আজগর খান। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। 

June 02, 2024

ডুয়েটে ‘মেকানিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড প্রোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিএমএমপিই-২০২৪)’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সম্পন্ন

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ ‘মেকানিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড প্রোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিএমএমপিই-২০২৪)’ শীর্ষক তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত এ কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, এমপি।

এ সময় তিনি বলেন, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর কর্তৃক আয়োজিত ‘মেকানিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড প্রোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিএমএমপিই-২০২৪)’ শীর্ষক তিনদিন ব্যাপী এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে যোগ দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি চমৎকার এই অনুষ্ঠানের  আয়োজক কমিটি, প্রতিনিধি, বিশিষ্ট অধ্যাপক এবং দেশ-বিদেশের অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। 

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সমৃদ্ধি আর নানা অর্জনের মধ্য দিয়ে গাজীপুরের ভাওয়াল ভূমিতে অবস্থিত ডুয়েট গৌরব আর সাফল্যে দেশের অন্যতম একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশ গঠনের যে দর্শন দিয়ে গেছেন, আপনারা বঙ্গবন্ধুর সেই আদর্শ ও দর্শনকে প্রতিটি কর্মে প্রতিফলিত করে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য গবেষণা, উদ্ভাবন ও সৃজনশীল কর্মকান্ড দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। মনে রাখবেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন আমাদের প্রতিটি কর্মে প্রতিফলিত হলে আমরা এগিয়ে যাবোই, কেউ আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।  

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ, গভীর সমুদ্র বন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ প্রকল্প, আইসিটি খাতের উন্নয়ন, তেল, গ্যাস, কয়লা, প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণসহ এ ধরনের আরো অনেক কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমাদের দেশ ধান উৎপাদন, মৎস্য, সবজিসহ নানা ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর কাতারে পৌঁছেছে। বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিতে গবেষণার ফলেই এই অভূতপূর্ব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে একটি আধুনিক, সমৃদ্ধ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। 

তিনি আরো বলেন, চতুর্থ শিল্প বিল্পবের প্রাক্কালে বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিতে গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং জ্ঞানের আদান-প্রদানের জন্য এই ধরনের আন্তর্জাতিক কনফারেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা চতুর্থ শিল্প বিল্পবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদেরকে আরো দক্ষ হয়ে উঠতে সহায়তা করবে। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সব উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন হচ্ছে, এর সঙ্গে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান। তিনি কনফারেন্সটি সফল করার জন্য ভাইস চ্যান্সেলর, আয়োজক কমিটি, যন্ত্রকৌশল অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ এবং স্বেচ্ছাসেবকসহ সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এছাড়া তিনি এই কনফারেন্স থেকে মেকানিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ক উদ্ভাবনী ধারণা এবং জ্ঞানের আদান-প্রদানের মাধ্যমে প্রযুক্তিসমৃদ্ধ দেশ গঠনে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কনফারেন্সের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, আজ আমরা যখন যন্ত্রকৌশল, উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রকৌশলে অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করছি, তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদৃষ্টি  ও অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি সমৃদ্ধ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশের, যেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাতীয় উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা পালন করবে। তাঁর স্বপ্ন আমাদের জাতিকে উদ্ভাবন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিজ্ঞান, প্রকৌশল, প্রযুক্তি ও গবেষণার ক্ষেত্রে অসংখ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এসব ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগগ্রতি সাধন করেছে, যা আমাদের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। 

তিনি বলেন, যন্ত্রকৌশল, উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রকৌশল শিল্প উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে সাইবার-ফিজিক্যাল সিস্টেম, ইন্টারনেট অফ থিংস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি প্রধান ভূমিকা পালন করছে। এর ধারাবাহিকতায় আমরা থ্রিডি প্রিন্টিং, স্মার্ট টেক্সটাইল, সবুজ রসায়ন, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতির মতো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিগুলো প্রত্যক্ষ করছি। আমার বিশ্বাস, এই সম্মেলনটি এই ধরনের জটিল প্রকৌশল বিষয়ক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ও আমাদের মাতৃভূমির জন্য টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখতে এবং জ্ঞানের আদান-প্রদান ও সহযোগিতার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। আমি ডুয়েটের যন্ত্রকৌশল অনুষদকে শিক্ষার এবং গবেষণার ক্ষেত্রে তাদের নিরলস প্রচেষ্টা ও কনফারেন্সটি সফল করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। 

এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য শিক্ষক, গবেষক, উদ্ভাবক ও শিল্প উদ্যোক্তাসহ সকলকে উপাচার্য একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন ও কনফারেন্স চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসারের সভাপতিত্বে মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও কনফারেন্সের অরগানাইজিং কমিটির চেয়ার অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক ও কনফারেন্সের টেকনিক্যাল চেয়ার ও পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রসিডিং পাবলিকেশন কমিটির চেয়ার ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. খালেদ খলিল, এডিটর ইন চিফ ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.এন.এম. মমিনুল ইসলাম মুকুট, কনফারেন্স সেক্রেটারি ও ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও সহযোগী সেক্রেটারি ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ মিয়াকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সুষ্ঠুভাবে কনফারেন্সটি সফল করার জন্য অনুষ্ঠানের সভাপতি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য, তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বিভিন্ন বিষয়ে মোট ৯৮ টির অধিক টেকনিক্যাল পেপার, কী নোট বক্তৃতা, ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিক কোলাবোরেশন ইত্যাদি উপস্থাপিত হয় এবং এর মধ্য থেকে বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাসহ দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন। 

May 29, 2024

ডুয়েটে তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ আজ বুধবার (২৯ মে, ২০২৪ খ্রি.) ‘মেকানিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড প্রোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিএমএমপিই-২০২৪)’ শীর্ষক তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধন করা হয়। 

মেকানিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং, এনার্জি, টেক্সটাইল, ফুড, কেমিক্যাল এবং প্রোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অধিকতর গবেষণা ও উদ্ভাবনকে লক্ষ্য রেখে আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার অডিটোরিয়ামে যন্ত্রকৌশল অনুষদের উদ্যোগে এ আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন কনফারেন্সের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। 

তিনি বলেন, আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রযুক্তিগত রূপান্তরের মধ্য দিয়ে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে, যা ন্যানোটেকনোলজি, শক্তি সঞ্চয়, বৈদ্যুতিক যানবাহন, রোবোটিক্স এবং স্মার্ট টেক্সটাইলগুলির মতো প্রযুক্তির উৎকর্ষতা ও বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বকে সমৃদ্ধ করছে। আমাদের দেশে এই খাতসমূহের অধিকতর উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটাতে এবং বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমাদের অবশ্যই ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলিকে মোকাবেলা করে জলবায়ু পরিবর্তন, সম্পদের ঘাটতি এবং টেকসই উন্নয়নের মতো বিষয়সমূহের সমন্বিত গবেষণা প্রচেষ্টা, সহযোগিতা এবং জ্ঞান আদান-প্রদানসহ সম্মিলিত পদক্ষেপের মাধ্যমে স্মার্ট, আরো টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তোলার পথকে প্রশস্ত করতে হবে। তিনি এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উৎকর্ষতা সাধনে মেকাট্রনিক্স, ন্যানোটেকনোলজি, নতুন নতুন ম্যাটেরিয়াল উদ্ভাবন এবং কম্পিউটার এইডেড ডিজাইনসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনের সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে সমস্যাগুলোকে সমাধান করে যন্ত্রকৌশল অনুষদের প্রকৌশলীদের দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের মাধ্যমে যে দৃষ্টান্ত সারা বিশ্বে স্থাপন করেছেন, তা জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। নিজেদের শক্তিতে যে নিজেদের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব তা পদ্মাসেতুর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও বর্তমান সরকার ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ, গভীর সমুদ্র বন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ প্রকল্প, আইসিটি খাতের উন্নয়ন, তেল, গ্যাস, কয়লা, প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণসহ এ ধরনের আরো অনেক কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য শিক্ষক, গবেষক, উদ্ভাবক ও শিল্প উদ্যোক্তাসহ সকলকে উপাচার্য একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। এছাড়া তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন ও কনফারেন্স চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কী নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান এবং অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম।  অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও কনফারেন্সের অরগানাইজিং সেক্রেটাারি অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক, কনফারেন্স সেক্রেটারি ও ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কনফারেন্সের টেকনিক্যাল চেয়ার ও পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, কনফারেন্সের সহযোগী সেক্রেটারি ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ মিয়া। 

তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বিভিন্ন বিষয়ে মোট ৯৮ টির অধিক টেকনিক্যাল পেপার, কী নোট বক্তৃতা, ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিক কোলাবোরেশন ইত্যাদি উপস্থাপিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দসহ দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন। 


May 28, 2024

অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) সফ্টওয়্যার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুরে -এ‘অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) সফ্টওয়্যার’ বিষয়ক কর্মশালা আজ মঙ্গলবার (২৮ মে, ২০২৪ খ্রি.) বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম.হাবিবুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি এবং ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতার প্রতি বিনম্র  শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের মাধ্যমে সকল উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ও দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেই প্রেক্ষাপটে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে বর্তমান সরকার স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন কার্যক্রমের আওতায় অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সে আলোকে জনপ্রশাসনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, সেবার মানোন্নয়ন এবং ভোগান্তিবিহীন জনসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কর্মপদ্ধতি।এরই ধারাবাহিকতায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবার মানোন্নয়ন, আরো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাএবং নাগরিক সেবা সহজে প্রদান করার লক্ষ্যে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ক কর্মশালায় আয়োজন করা হয়েছে। আশা করি, জিআরএস-এর মাধ্যমে আরোবিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সুনিশ্চিত হবে।

উক্ত কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত (অনলাইন জুমের মাধ্যমে) ছিলেনবাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড.  ফেরদৌস জামান। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম। কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে আরো উপস্থিত ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক ওফোকাল পয়েন্ট (জিআরএস) মৌলি আজাদ এবংইউজিসির প্রশাসন বিভাগের সহকারী সচিব (লিগ্যাল) মোহাম্মদ শোয়াইব। স্বাগত বক্তব্য দেন অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য-সচিব ও অনিক কর্মকর্তা অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. মফিজুর রহমান।

কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালূেয়র অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনাকমিটির সকল সদস্যবৃন্দ এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর ও প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।