December 28, 2022

মেট্রোরেল চালু হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ডুয়েট উপাচার্যের অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা

দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দ্বার উন্মোচনের দিন আজ। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আজ সকালে দেশের প্রথম মেট্রোরেল পরিষেবার প্রথম ধাপের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বালাদেশ প্রবেশ করলো একটি আধুনিক মেট্রোরেল ব্যবস্থায়। মাত্র দশ মিনিটে নগরবাসী চলে যাচ্ছে উত্তরা থেকে আগারগাঁও, এ এক অভিনব অনুভ‚তি! স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে নগরবাসী দেখছে ব্যস্ত সড়কের মধ্যে পিলার বসিয়ে তৈরি উড়াল পথে ছুটে চলেছে ট্রেন। এ অনুভূতির সফল রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এক অভিনন্দন বার্তায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান এসব কথা বলেন। 

অভিনন্দন বার্তায় উপাচার্য বলেন, ঢাকাকে ঘিরে গড়ে তোলার আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সফল মাইলফলক মেট্রোরেল নগর ও জনজীবনে আনবে স্বস্তি ও সমৃদ্ধি। মেট্রোরেলকে দেশের গর্ব ও আকাঙ্ক্ষার প্রতীক আখ্যা দিয়ে বলেন, এর মাধ্যমে সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উচ্চ পর্যায়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। এটি বাংলাদেশের প্রথম বিদ্যুৎ চালিত ট্রেন যা চলবে সফট্ওয়্যারের মাধ্যমে এবং ভাড়া পরিশোধ হবে কার্ড দিয়ে। সবগুলো বিষয়ই বাংলাদেশে প্রথম। সকল বাঁধা কাটিয়ে মেট্রোরেলের সফল যাত্রায় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় ২০২৫ সালের মধ্যে এ মেট্রোরেল কমলাপুর পর্যন্ত চালু হয়ে যাবে বলে আমি দৃঢ়চিত্তে বিশ্বাস করি। এভাবে দেশ এগিয়ে চললে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবো।

অভিনন্দন বার্তায় উপাচার্য বিজয়ের এই মাসে স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ’৭৫ এর ১৫ আগস্টে তাঁর পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদের প্রতি এবং জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল বীরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী পিতার আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র গঠনের পথে দুর্বার গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। পিতার সংগ্রামে নিজেকে একনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত করে তাঁর অসমাপ্ত কাজ করে যাচ্ছেন যার সফল ফসল মেট্রোরেল। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব, অকৃত্রিম দেশপ্রেম ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে দেশ আজ অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ আর্থ-সামাজিক সকল খাতে অর্জন করেছে বিষ্ময়কর অগ্রগতি। অনেক ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশীদের ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের ‘বিস্ময়’ ও ‘রোল মডেল’ এ পরিণত হয়েছে।

উপাচার্য বলেন, মেট্রোরেলের উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবো। তিনি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) গাজীপুর এর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে তাঁর প্রতি অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।  

December 16, 2022

ডুয়েটে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন

বিভিন্ন কর্মসূচী ও যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। আজ (১৬ ডিসেম্বর) শুক্রবার দিবসটি উপলক্ষ্যে সূর্যোদয়ের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন, প্রশাসনিক ভবন ও হলসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচীর শুরু হয়। সকাল ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, ছাত্র সংগঠন, কর্মচারী সমিতিসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিজয় শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।

বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শৈশব থেকেই বাঙালি জাতিকে চরম বৈষম্যের হাত থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর সারাজীবনের সংগ্রাম ও ত্যাগের ফসল আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু যে আদর্শ বা ব্রত নিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, সেই আদর্শ তথা সোনার বাংলা গড়ে তোলা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হতে হলে তাঁর আদর্শ ও দর্শনকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যেতে হবে। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সকলকে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণের আহবান জানান। তিনি বিজয়ের এই মাসে ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।  

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য সবাইকে শপথ নেওয়ার আহবান জানান। এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (অ. দা.), অফিস প্রধানগণ এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে বা’দ যোহর জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে বিশেষ মোনাজাত, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা, রচনা প্রতিযোগিতা এবং বিকেলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী হয়। উল্লেখ্য, বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সেজেছে বর্ণিল আলোকসজ্জায়।


December 15, 2022

ডুয়েটে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার অডিটোরিয়ামে এই ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।

পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ এবং রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক। ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে ডুয়েটের বিভিন্ন অনুষদের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়। 

অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, তোমাদের পদচারণায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ আজ মুখরিত। তোমাদের আগামীর দিনগুলো আনন্দময় হোক। তোমরা মেধাবী শিক্ষার্থী; তাই তোমরা যেন সঠিক সময়ের মধ্যে কোর্স সম্পন্ন করে প্রকৌশলী হয়ে বের হয়ে যেতে পারো সেই বিষয়ে সচেষ্ট থাকবে। গ্রোবালাইজেশনের এই যুগে পুরো পৃথিবীর গ্রাজুয়েটদের সঙ্গে তোমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে। এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠার আহবান জানান। এ সময় তিনি যাঁদের ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে আমরা আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছি, বিজয়ের এই মাসে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জ্ঞাপন করেন। তিনি আরো বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তোমরা যেন সোনার মানুষ হয়ে সেই স্বপ্ন পূরণে অগ্রবর্তি হও। এ সময় তিনি নবীনদের মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ হওয়ার উপরও গুরুত্বারোপ করেন। 

বিজয়ের এই মাসে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ ১৪ ডিসেম্বরের সকল শহীদ বুদ্ধিজীবি ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি এবং ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। তিনি সময়ানুবর্তি হয়ে শৃঙ্খলা মেনে গুরুত্বসহকারে একাডেমিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে কর্মের মাধ্যমে দেশের সেবা করার জন্য নবীনদের প্রতি আহবান জানান।

রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, তোমরা যেমন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মেধার স্বাক্ষর রেখেছো, তেমনি আগামীতেও ভালো ফলাফল করবে করে আশা রাখি।  

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, ডুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি মো. তাইবুর রহমান, ডুয়েটের সিআর ফোরামের পক্ষে যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ফারুক হোসেন। এছাড়া নবীন শিক্ষার্থীর পক্ষে প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থী অনুভূতি ব্যক্ত করেন ও ডুয়েট লাইব্রেরির রিসোর্স নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীনবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, পরিচালক, হল প্রভোস্ট, অফিস প্রধান এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 


December 14, 2022

ডুয়েটে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

দিবসটিতে অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো দিনব্যাপী কালো ব্যাজ ধারণ, বা’দ যোহর শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে বিশেষ দোয়া ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা। এ কর্মসূচীগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদসহ বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব), অফিস প্রধান এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


December 13, 2022

ডুয়েটে ‘ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেটি স্ট্র্যাটেজি’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ ‘ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেটি স্ট্র্যাটেজি’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ আজ মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রি.) অনুষ্ঠিত হয়। ডুয়েটের নৈতিকতা কমিটি ও  ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালাটি উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, দেশের সমৃদ্ধি ঘটলে অর্থের প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় দুর্নীতির অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে। ফলে রাষ্ট্রের টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের চর্চা অত্যন্ত জরুরি। উন্নত রাষ্ট্রকে টেকসই করার জন্য নৈতিকতা, শুদ্ধাচার, মানবিক মূল্যবোধের মতো উপাদানগুলো আমাদের কাজে লাগাতে হবে। সর্বোপরি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। বঙ্গবন্ধু যে আদর্শ বা ব্রত নিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, সেই আদর্শ তথা সোনার বাংলা গড়ে তোলা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি সকলকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও দর্শনকে লালন করে দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত রাষ্ট্র গড়ার আহবান জানান। এছাড়া তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈতিকতা কমিটির সদস্য-সচিব ও ফোকাল পয়েন্ট এবং আইকিউএসি-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রাজু আহমেদের সভাপতিত্বে টেকনিক্যাল সেশনে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টটিউট অব ম্যানেজমেন্ট-এর অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ফিনানসিয়াল ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান ও সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিলর এম. আমিনুর।

ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল-এর সেকশন অফিসার তাপস রন্জন সরকারের সঞ্চালনায় কর্মশালাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও অফিস প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন। 


December 12, 2022

ডুয়েটে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদযাপিত

বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস- ২০২২ উদ্যাপিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে আজ সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে 'প্রগতিশীল প্রযুক্তি/ অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি'-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম একাডেমিক ভবনে স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন ও হস্তান্তর করা হয়। এ সময় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে ১০ টি স্মার্ট ক্লাস রুমের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। তিনি স্মার্ট ক্লাস রুম ব্যবহারের বিভিন্ন সুবিধা উল্লেখ করে বলেন, এতে করে ছাত্র শিক্ষক সকলেই উপকৃত হবেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক। 

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টার অডিটোরিয়ামে স্থাপিত জায়ান্ট স্ক্রীনে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, বিভিন্ন অনুষদের ডীনবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (অ. দা.), অফিস প্রধান এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১১ নং সেমিনার কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (কম্পিউটার সেন্টার) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। 

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় বাঙালি জাতিকে বিজ্ঞানমনষ্ক ও শিক্ষিত করে তোলার প্রচেষ্টা করেছেন। তাঁর আদর্শকে ধারণ করে বর্তমান সরকার তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের সকল কার্যক্রম পরিচালনার ধারা অব্যাহত রেখেছেন। এতে কর্মক্ষেত্রে নানা অসুবিধাগুলো দূর হয়ে সময়, শ্রম লাঘব হচ্ছে। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে যেসকল প্রতিবন্ধকতা ছিল তা কাটিয়ে উঠে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে ডিজিটাল সক্ষমতা সৃষ্টি ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের সুবিধা তৈরি হওয়ায় আমরা বৈশ্বিক পরিমন্ডলে নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তিনি বর্তমান সরকারের ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ঘোষণা ও করোনাকালীন সময়ে সকল কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালনার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং তাঁর সুযোগ্য পুত্র, আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা ও আর্কিটেক অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মসহ সকলকে আউটকাম বেইজ এডুকেশন ও নলেজ বেইজ সোসাইটি বিনির্মাণে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। তিনি আরও বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে আমরা উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হলেও নৈতিক শিক্ষা ও শুদ্ধাচার চর্চা না করলে উন্নয়ন ধরে রাখা সম্ভব হবে না। বিজয়ের এই মাসে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ ১৪ ডিসেম্বরের সকল শহীদ বুদ্ধিজীবি ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি এবং ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ বলেন, বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে আমরা ই-কমার্স, টেলি-মেডিসিন, ই-ব্যাংকিংসহ নানা রকম ই-সার্ভিস পাচ্ছি, যা বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রভাব রাখছে। এসময় তিনি অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি দূর্নীতি হ্রাস ও দারিদ্র বিমোচন উপর গুরুত্বারোপ করেন।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে তিনি ইতিবাচক সংস্কৃতি চর্চার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

সভায় বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও উন্নয়নের বিভিন্ন কার্যক্রমের ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) সেলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফজলুল হাসান সিদ্দিকী সরকারের ভিশন-মিশন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডুয়েটের সকল কার্যক্রম কিভাবে ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে তা উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইসিটি সেলের প্রোগ্রামার ইঞ্জিনিয়ার সোলাইমান আহমেদ। 


November 12, 2022

ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ রহিত করে দেশের বুকে বিচারহীনতার যে ঘৃণ্য সংস্কৃতি চালু হয়েছিল, তার অবসান ঘটেছে- ডুয়েট উপাচার্য

‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ রহিত করে দেশের বুকে বিচারহীনতার যে ঘৃণ্য সংস্কৃতি চালু হয়েছিল, তার অবসান ঘটেছে। তাই ১২ নভেম্বর দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। ১৯৯৬ সালের এই দিনে মহান জাতীয় সংসদে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ রহিত করে ইতিহাসের কলঙ্কময় ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়ার পথ উন্মুক্ত হয়। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কুশীলব চক্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুনের দায় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ নামের মানবতাবিরোধী ও কালো আইন প্রণয়ন করেছিল। যা ছিল সম্পূর্ণ অবৈধ। কিন্তু জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার গঠনের পর ওই বছরই ১২ নভেম্বর সপ্তম জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার পথ সুগম করে দেন।’- ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ প্রসঙ্গে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান এক বাণীতে এসব কথা বলেন।

বাণীতে উপাচার্য বলেন, আমরা জানি, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে হত্যা করে ইতিহাসের কলঙ্কিত বর্বরোচিত অধ্যায় রচিত হয়- যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। এরপর খুনিচক্র কেবল ব্যক্তি মুজিবকেই হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি, তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তির উপর আঘাত হানে। জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। তার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ‘জেল হত্যাকাণ্ড’ ঘটে। এরপর দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে জাতির পিতার খুনিদের ফাঁসির রায় ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি ইতিহাসের প্রতি তার দায় শোধ করতে শুরু করে। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার করে বাঙালি জাতিকে কলঙ্ক ও দায়মুক্ত করেছেন। এই আইন বাতিল হওয়ার ফলে খুনিদের বিচারকার্য সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে এবং এজন্যই আজকের এই দিনটি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার উজ্জ্বলতম ও গৌরবময় দিন।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি, ইতিহাসের এই কলঙ্কময় অধ্যায় থেকে বাঙালি জাতিকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত করতে হলে পলাতক বাকী খুনিদের ফাঁসি কার্যকর করাসহ এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচিত করতে হবে। এই স্বাধীনতাবিরোধী কুশীলবদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে।’ এছাড়া তিনি বর্বর খুনি ও এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কুশীলবদের শুধু বিচার করে নয়; বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন সকলকে লালন করে সোনার বাংলা গড়ে তোলার মাধ্যমে উন্নত জাতি গঠন করে নৈতিকভাবে দায়মুক্ত হওয়ার আহবান জানান।

November 09, 2022

ডুয়েটে তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ আজ বুধবার (৯ নভেম্বর, ২০২২ খ্রি.) অনুষ্ঠিত হয়। ডুয়েটের অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স এগ্রিমেন্ট (এপিএ) টিম ও তথ্য অধিকার বাস্তবায়নের জন্য গঠিত তথ্য প্রদান ইউনিটের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালাটি উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অধিকার বাস্তবায়নের জন্য গঠিত তথ্য প্রদান ইউনিটের আহবায়ক ও পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে টেকনিক্যাল সেশনগুলোতে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও তথ্য অধিকার বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান তথ্যের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, তথ্য প্রাপ্তি জনগণের অধিকার। তাই যথাযথভাবে তথ্য সংরক্ষণ ও তথ্য সেবা প্রদান অত্যন্ত জরুরি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও সবসময় জনগণের কাছে সব ধরনের সরকারি কর্মকান্ডের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বলেছেন। তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সকল নাগরিকের তথ্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে এবং তথ্যের প্রবাহ যতো বাড়বে, ততো বেশি মঙ্গল হবে। তিনি আরো বলেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দূর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে তথ্য অধিকার বাস্তবায়নের জন্য যথাযথভাবে কাজ করতে হবে। তিনি নবম জাতীয় সংসদে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ পাসের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়া তিনি সকলকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও দর্শনকে লালন করে দেশ প্রেমের মন্ত্রে উজ্জ্বীবিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত রাষ্ট্র গড়ার আহ্বান জানান।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ তথ্য সংক্রান্ত বিষয়ে নাগরিকদের সচেতনতা ও তথ্যের অবাধ প্রবাহের গুরুত্ব তুলে ধরে সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য সবাইকে শপথ নেওয়ার আহবান জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আমরা তথ্যভিত্তিক সমাজে বসবাস করি। যার কাছে যতো তথ্য বেশি, সে ততো বেশি সমৃদ্ধ। জনগণের অধিকতর মঙ্গল সাধনে তথ্যের অবাধ প্রবাহ অত্যন্ত জরুরি। তথ্য সরবরাহ বন্ধ হলে বোধের মৃত্যু হয়। তিনি তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য সকলকে তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে গুরুত্ব সহকারে কাজ করার আহবান জানান।

পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ)-এর দপ্তরের সহকারী পরিচালক (গণসংযোগ ও প্রকাশনা) ও এপিএ ফোকাল পয়েন্ট মো. জিয়াউল হকের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও অফিস প্রধানগণ এবং এপিএ সংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটির আহবায়ক ও সদস্য-সচিবগণ অংশগ্রহণ করেন।