ডুয়েটে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১১ জুন, ২০২৪ খ্রি.) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন টিম ও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের উদ্যোগে ই-গভর্নেন্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য ১৫ আগস্টে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বাঙালি জাতিকে বিজ্ঞানমনস্ক, প্রযুক্তিনির্ভর ও শিক্ষিত করে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধু সবসময় মনে-প্রাণে চেষ্টা করেছেন। তাঁর আদর্শকে ধারণ করে বর্তমান সরকার তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের মাধ্যমে সকল উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এর ফলে ডিজিটাল সক্ষমতা সৃষ্টি ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের সুবিধা তৈরি হওয়ায় আমাদের বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশে সবকিছু হবে প্রযুক্তির মাধ্যমে। সেখানে নাগরিকেরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে। এর মাধ্যমে সমগ্র অর্থনৈতিক কার্যক্রমসহ দেশের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সরকারের সকল কার্যক্রম ও সমাজের নাগরিকদের স্মার্ট করে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যেই বিশাল কর্মযজ্ঞ চলমান রয়েছে। এছাড়া চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আলোকে স্মার্ট বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লক চেইন, রোবোটিক্স, বিগ ডাটা, সাইবার নিরাপত্তার মতো উন্নত প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা যদি সরকারের এই মহাপরিকল্পনায় প্রত্যেকের দায়িত্বটুকু সঠিকভাবে পালন করি, আশা করা যায় আগামী ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ একটি উন্নত ও স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।
উপাচার্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার চারটি ভিত্তি তথা স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি-এর স্তম্ভগুলো সফলভাবে বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং তাঁর সুযোগ্য পুত্র আর্কিটেক অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার স্বপ্নকে আরো বেগবান করতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন টিমের ইনোভেশন অফিসার ও পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক ও আইসিটি সেলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফজলুল হাসান সিদ্দিকী। আইসিটি সেলের কম্পিউটার প্রোগ্রামার ইঞ্জিনিয়ার সোলাইমান আহমেদের সঞ্চালনায় কর্মশালাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।