ডুয়েটে ইনোভেশন শোকেসিং বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ আজ সোমবার (৬ মে, ২০২৪ খ্রি.) বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে ইনোভেশন শোকেসিং বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইনোভেশন টিম ও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ইনোভেশন শোকেসিং কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান সকালে উদ্ভাবনী অনুষ্ঠানে প্রদর্শনী (শোকেসিং) এর উদ্বোধনের পর ইনোভেশন আইডিয়া/ প্রোজেক্টগুলো পরিদর্শন করেন।
ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠানের বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়া শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে উদ্ভাবনী পরিকল্পনা খুবই জরুরি। নতুন কর্ম-পরিধি, সেবা সহজীকরণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে আরো উন্নত ও সমৃদ্ধ করা সম্ভব। ইনোভেশন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যেতে পারে না। নতুন নতুন সৃষ্টিকর্ম প্রতিষ্ঠানের গতি বাড়ায়। তিনি আরো বলেন, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রাপ্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে ডুয়েটের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম আরো গতিশীল ও কর্ম বা শিক্ষাদান পরিবেশ উন্নত হবে।
এ সময় তিনি সকলকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও দর্শনকে লালন করে দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জ্বীবিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আহবান জানান। এছাড়া তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন অফিসার ও পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইনোভেশন টিমের সদস্য ও আইসিটি সেলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফজলুল হাসান সিদ্দিকী। ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠানে দুইটি ক্যাটাগরিতে মোট ২০টি দল শোকেসিংয়ে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে বিচারক প্যানেলের ফলাফলের ভিত্তিতে দুইটি ক্যাটাগরিতে ৬টি উদ্ভাবন/আইডিয়াকে পুরস্কার দেওয়া হয়। শিক্ষার্থী ক্যাটাগরিতে ‘সমুদ্রসীমার স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ উদ্ভাবনী উদ্যোগটি প্রথম স্থান অধিকার করে। যেটি লেজার বীম সমন্বিত এআই বেইজ রাডার সিস্টেমের মাধ্যমে দেশীয় প্রযুক্তিতে সমুদ্রসীমা নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। অন্য ক্যাটাগরিতে ‘এআই বেইজ ওএমআর শিট ইভালুয়েশন সলিউশন’ উদ্ভাবনী উদ্যোগটি প্রথম স্থান অধিকার করে। যেটি কিউআর কোড ইন্টিগ্রেশন, স্বল্প খরচ, দ্রুত গতি এবং মাল্টিপল মার্কিং মেথড (বৃত্ত ভরাট, ক্রস চিহৃ, টিক চিহৃ ইত্যাদি) সম্বলিত।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (অ. দা.), শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ইনোভেশন টিমের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।