ডুয়েটে গণহত্যা দিবস পালিত
যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। আজ (২৫ মার্চ, সোমবার) গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে রাত ১১:০০ টা হতে ১১:০১ মিনিট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, আবাসিক ভবন ও হলসমূহে আলো নিভিয়ে ‘ব্লাক আউট’ কর্মসূচী পালিত হয়।
এর আগে সন্ধ্যা ৭:০০ মিনিটে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত হত্যাযজ্ঞের দিন ১৯৭১ সালের ভয়াল ২৫ মার্চ। তিনি এই বিভীষিকাময় ২৫ মার্চের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান যখন গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন, তখনই বঙ্গবন্ধু উপলদ্ধি করছিলেন পাকিস্তানি জান্তারা বাঙলিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা এঁকেছে। তখন বঙ্গবন্ধু বাংলার আপামর জনতাকে সর্বোচ্চ ত্যাগের মাধ্যমে দেশমাতৃকার মুক্তির আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদাত্ত আহবান জানান এবং ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনি সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সকল নির্দেশ পালন করে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কার্যকরী ভূমিকা রাখার আহবান জানান। তিনি ২৫ মার্চের গণহত্যা দিবসকে স্মরণ করে দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
এছাড়া তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ ভয়াল ২৫ মার্চের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস তুলে ধরে সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য সবাইকে শপথ নেওয়ার আহবান জানান।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে সন্ধ্যায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। বাদ যোহর গণহত্যায় প্রাণ উৎসর্গকারী শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এ অনুষ্ঠানগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।