পুনরায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করায় আ.ক.ম. মোজাম্মেল হককে ডুয়েট উপাচার্যের অভিনন্দন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী হিসেবে পুনরায় শপথ গ্রহণ করায় আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, এমপিকে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান।
আজ শুক্রবার (১২ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি.) সকালে এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, মাননীয় মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, এমপি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। তিনি ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ গাজীপুরে সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ব্রিগেডিয়ার জাহানজেবের বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন এবং ব্রিগেডিয়ার জাহানজেবকে জয়দেবপুর থেকে ফেরৎ চলে আসতে বাধ্য করেন। তিনি ২০০৮ সালে গাজীপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ভ‚মি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে তখন থেকে তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়ন, ভাতা, বোনাস, বিনামূল্যে চিকিৎসা ও আবাসন ব্যবস্থা এবং প্রতি জেলা ও উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। এছাড়া বধ্যভ‚মি সংরক্ষণ, যুদ্ধকালীন ঐতিহাসিক স্থান ও পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ প্রতিরোধ যুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক স্বাধীনতাস্তম্ভ, ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের ভাস্কর্য স্থাপনের কার্যক্রম ও মুজিবনগরে ঐতিহাসিক কর্মকান্ডের জন্য গুরুত্বপ‚র্ণ কাজ বাস্তবায়ন করেছেন।
উপাচার্য আরো বলেন, তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তৃণমূল পর্যন্ত এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট পৌঁছে দেওয়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও গৌরব বিশ্বের দরবারে সমুন্নত থাকবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে ও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নিজেকে নিবেদিত রেখে বিরামহীনভাবে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছেন, তারই ধারাবাহিকতায় আপনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনকে ধারণ করে সোনার বাংলা বিনিমার্ণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি মাননীয় মন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও কল্যাণ কামনা করেন।