ডুয়েটে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এঁর জন্মবার্ষিকী পালিত
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এঁর ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ (০৮ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি.) মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালিত হয়।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান শোকাবহ ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণ করে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাস নির্মাণে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা বলতে গেলে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কথা অবিচ্ছেদ্যভাবেই এসে যায়। তিনি অত্যন্ত সরলমনা কিন্তু রাজনীতি-সচেতন ও নিরহঙ্কারী মানুষ ছিলেন। তিনি অসাধারণ বুদ্ধি, মনোবল, সাহস, সর্বংসহা ও দূরদর্শিতার অধিকারী ছিলেন এবং আমৃত্যু দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক নেতৃত্বকালীন নানা জাতীয় সংকটে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে বঙ্গমাতা একজন রাজনীতি-সচেতন মানুষ হিসেবে সবসময় বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ দিয়েছেন এবং নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গমাতা শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী নন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার জননী নন, শুধু একজন মহিয়সী নারী নন, জাতির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামের বাঁকে বাঁকে নীরবে- নিভৃতে প্রচারবিমুখ হয়ে তিনি অনস্বীকার্য অবদান রেখেছেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবনী চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ, সকল অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, হল প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভেস্টগণ, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব), শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে বিশেষ দোয়া এবং মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।