ডুয়েটে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এঁর ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ আজ শনিবার (০৫ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি.) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এঁর ৭৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক বাণীতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম হাবিবুর রহমান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এটিই ছিল বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত ও বর্বরোচিত ঘটনা। এ নির্মম হত্যাযজ্ঞ না হলে বাংলাদেশ একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সংগঠক, একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র পেতো- তিনি হলেন জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম পথিকৃৎ বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল। তিনি ছিলেন এ দেশের তরুণদের উজ্জ্বল প্রতিনিধি। মাত্র ২৬ বছর বয়সে তাঁর জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগে, এই অল্প সময়ের মধ্যে তিনি দেশপ্রেম থেকে শুরু করে ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সংগঠন পরিচালনার যে প্রতিভা ও দক্ষতার পরিচয় রেখে গেছেন, তা শুধু আমাদের দেশের তরুণদের জন্যই নয়, পৃথিবীর যে কোনো দেশের, যে কোনো কালের তরুণ সমাজের অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত।
তিনি আরো বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল ছিলেন এক বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী অনন্য সংগঠক। দেশ ও সমাজ ভাবনায় শেখ কামাল মাত্র ২৬ বছরের জীবনে বাঙালির সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রের এক বিরল প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ ও সাংস্কৃতিককর্মী এবং সংগঠক ও উদ্যোক্তা হিসেবে অসামান্য উচ্চতায় নিজেকে নিয়ে গেছেন। একই সাথে তিনি ছাত্রনেতা, মুক্তিযোদ্ধা, সেনা কর্মকর্তা, সেতারবাদক, গায়ক, অভিনেতা, ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক এবং সর্বোপরি দেশপ্রেমিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। মেধা ও রুচির প্রয়োগ ঘটিয়ে তরুণ প্রজন্মকে যে সুন্দর ও সম্ভাবনার পথ তিনি দেখাতে চেয়েছিলেন, সেই পথটি যেন আমরা খুঁজে নিতে পারি - এটাই হোক ঐকান্তিক কামনা। তিনি শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানান।
দিবসটি উপলক্ষ্যে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে বিশেষ দোয়া এবং মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।