ডুয়েটের ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সম্পন্ন
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর বিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে দুইদিন ব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (আইসিএসএইচএসডি-২০২৫) বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শেষ হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় (২৪ অক্টোবর) গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানার গলফ ক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কনফারেন্সের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কনফারেন্সের পৃষ্ঠপোষক ও মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান এবং ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু হাসান ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কনফারেন্স চেয়ার ও বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. কামাল-আল-হাসান। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোছা. নাসরিন আখতার। সমাপনী দিনে কী-নোট স্পিচ দেন মালয়েশিয়ার টেলরস বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর ড. গাজী মাহবুবুল আলম, জাপানের ইয়োকোহামা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. কাজুয়োশি উয়েনো ও ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সুসুমু আরাকি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব লুইসভিলের শিক্ষক ড. ফারশিদ রামেজানিপুর।
কনফারেন্সের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, 'বিজ্ঞান এবং মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানের মিলনে টেকসই উন্নয়নের ধারাকে শক্তিশালী করে উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা ও গবেষণার মাধ্যমে আলোকিত হবে নতুন বাংলাদেশ। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞানচর্চা এবং বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের যাত্রায়, এই কনফারেন্স আমাদের তরুণ গবেষকদের জন্য উন্মোচন করেছে এক নতুন দুয়ার। ’ এ সময় তিনি শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোলাবোরেশনের মাধ্যমে ডুয়েটকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাতারে পৌঁছাতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সফলভাবে আয়োজন ও সম্পন্ন করার জন্য বিজ্ঞান অনুষদ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও অংশগ্রহণকারীদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
কনফারেন্সের পৃষ্ঠপোষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন, ‘এই কনফারেন্স গবেষণা, উদ্ভাবন আর মানবিক মূল্যবোধ- একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে জ্ঞানচর্চার মেলবন্ধন তৈরি করেছে। আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জ্ঞান, বিজ্ঞান, নৈতিকতা ও উদ্ভাবনের সমন্বিত চেতনায় গড়ে তুলতে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।'
দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে মোট ৫৩৪ টি পেপার উপস্থাপিত হয়েছে এবং দেশ-বিদেশের প্রায় ৫০০ জন গবেষক, বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদগণ অংশগ্রহণ করেছেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকগণ উপস্থিত ছিলেন।