October 26, 2025

ডুয়েটকে বিশ্বমানে পৌঁছাতে নবীন শিক্ষার্থীরাই হবে অগ্রদূত- ডুয়েট উপাচার্য

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, 'শিক্ষা, গবেষণা ও প্রকাশনা এবং কো-কারিকুলার ও এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিজের মাধ্যমে তোমরাই ডুয়েটকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করাবে।' আজ রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ-২০২৫ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ শাকিল পারভেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত নবীন বরণ ও ‘রুলস্ এন্ড রেগুলেশনস্ ফর আউটকাম বেইজড এডুকেশন (ওবিই) কারিকুলাম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘তোমরা কেবল ভালো প্রকৌশলী নয়, দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবেও নিজেকে গড়ে তুলবে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান প্রতিটি সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে বিশ্বমানের জ্ঞানচর্চার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে গুটিগুটি পায়ে উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উৎকর্ষ সাধনে বিশ্বের দরবারে ডুয়েট শিক্ষার্থীরা নিজেদের একটা স্থান করে নিচ্ছে।' অনুষ্ঠানে উপাচার্য মহোদয় নবীন শিক্ষার্থীদেরকে ডুয়েটের সবুজ, শিক্ষাবান্ধব এবং মাদক, রাজনীতি ও আঞ্চলিকতামুক্ত ক্যাম্পাসে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘শিক্ষা, গবেষণা ও প্রযুক্তিগত প্রকাশনায় আমাদের অগ্রযাত্রা আজ দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দৃশ্যমান হচ্ছে। আমাদের আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই।’
মাননীয় উপাচার্য বলেন, ‘প্রাণের ডুয়েট শুধু একটি বিশ্ববিদ্যালয় নয়- এটি উদ্ভাবন, গবেষণা, প্রজেক্ট, পাবলিকেশনের উৎকর্ষতা এবং মানবসম্পদ বিকাশের একটি কেন্দ্র।’ নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘তোমরা ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যেভাবে মেধার স্বাক্ষর রেখেছো, তেমনি আগামীতেও জ্ঞান অর্জন, গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশ ও বিদেশে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখবে।’ এ সময় তিনি বলেন, ‘আন্ডারগ্রাজুয়েট পর্যায়ে প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টার চালুর মাধ্যমে ডুয়েটের ইতিহাসে নতুন ধারার সংযোজন হলো। আমি আশা করি, সময়ের সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে সঠিক সময়ে পরীক্ষা শেষ করে তোমরা যোগ্য, দক্ষ ও মানবিকগুণ সম্পন্ন প্রকৌশলী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যাবে।’ এ সময় তিনি একনেকে অনুমোদিত এম-ডুয়েট প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বিশ্বমানের গবেষণাগার ও ল্যাব ফ্যাসিলিটিজ বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। ডুয়েটের পরবর্তী যাত্রা- ভূমি সম্প্রসারণ মিশনে সামিল হওয়ার জন্য তিনি নবাগত শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের সময়ানুবর্তিতা মেনে ও শৃঙ্খলার সঙ্গে একাডেমিক কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করা এবং সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে বিশ্বের দরবারে ডুয়েটের সুনাম আরও উজ্জ্বল করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. রুমা, বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. কামাল-আল-হাসান। স্বাগত বক্তব্য দেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার দাস। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়ব। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুর রহমান।
অনুষ্ঠানে ডুয়েটের বিভিন্ন অনুষদের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, অফিস প্রধান ও আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘রুলস্ এন্ড রেগুলেশনস্ ফর আউটকাম বেইজড এডুকেশন (ওবিই) কারিকুলাম’ শীর্ষক সেমিনারের প্রেজেন্টেশন শুরু হয়। পরে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান রুলস, রেগুলেশনস ও ওবিই কার্যক্রম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেন। এ সময় এটেনটিভ লিসেনার হিসেবে নবাগত তিনজন শিক্ষার্থীকে আইকিউএসির পক্ষ থেকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। নবীন শিক্ষার্থীর পক্ষে থেকে প্রথম বর্ষের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মো. লিমন মিয়া, সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী তুষি দত্ত ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মেহেদি হাসান তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর উদ্যোগে এবং পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) এর দপ্তর ও রেজিস্ট্রার অফিসের সহযোগিতায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীনবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, পরিচালক, হল প্রভোস্ট, অফিস প্রধান এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
October 24, 2025

ডুয়েটের ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সম্পন্ন

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর বিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে দুইদিন ব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (আইসিএসএইচএসডি-২০২৫) বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শেষ হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় (২৪ অক্টোবর) গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানার গলফ ক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কনফারেন্সের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কনফারেন্সের পৃষ্ঠপোষক ও মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান এবং ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু হাসান ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কনফারেন্স চেয়ার ও বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. কামাল-আল-হাসান। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোছা. নাসরিন আখতার। সমাপনী দিনে কী-নোট স্পিচ দেন মালয়েশিয়ার টেলরস বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর ড. গাজী মাহবুবুল আলম, জাপানের ইয়োকোহামা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. কাজুয়োশি উয়েনো ও ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সুসুমু আরাকি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব লুইসভিলের শিক্ষক ড. ফারশিদ রামেজানিপুর।
কনফারেন্সের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, 'বিজ্ঞান এবং মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানের মিলনে টেকসই উন্নয়নের ধারাকে শক্তিশালী করে উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা ও গবেষণার মাধ্যমে আলোকিত হবে নতুন বাংলাদেশ। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞানচর্চা এবং বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের যাত্রায়, এই কনফারেন্স আমাদের তরুণ গবেষকদের জন্য উন্মোচন করেছে এক নতুন দুয়ার। ’ এ সময় তিনি শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোলাবোরেশনের মাধ্যমে ডুয়েটকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাতারে পৌঁছাতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সফলভাবে আয়োজন ও সম্পন্ন করার জন্য বিজ্ঞান অনুষদ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও অংশগ্রহণকারীদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
কনফারেন্সের পৃষ্ঠপোষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন, ‘এই কনফারেন্স গবেষণা, উদ্ভাবন আর মানবিক মূল্যবোধ- একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে জ্ঞানচর্চার মেলবন্ধন তৈরি করেছে। আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জ্ঞান, বিজ্ঞান, নৈতিকতা ও উদ্ভাবনের সমন্বিত চেতনায় গড়ে তুলতে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।'
দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে মোট ৫৩৪ টি পেপার উপস্থাপিত হয়েছে এবং দেশ-বিদেশের প্রায় ৫০০ জন গবেষক, বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদগণ অংশগ্রহণ করেছেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
October 23, 2025

ডুয়েটে দুইদিন ব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ দুইদিন ব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (আইসিএসএইচএসডি-২০২৫) বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে (২৩ অক্টোবর) বিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ শাকিল পারভেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) মাননীয় চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ। কনফারেন্সের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কনফারেন্সের পৃষ্ঠপোষক ও মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য এবং কী-নোট স্পীচ দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী। আরও বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স চেয়ার ও বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. কামাল-আল-হাসান, কনফারেন্স টেকনিক্যাল চেয়ার ও গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদ আলম, অর্গানাইজিং কো-চেয়ার ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আবু তালিব মো. কাওসার জামিল, অর্গানাইজিং কো-চেয়ার ও রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. উম্মে রায়হান এবং অর্গানাইজিং কো-চেয়ার ও মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোছা. তহুরা পারভীন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোছা. নাসরিন আখতার। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও কী-নোট স্পীচ দেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনা-এর গণিত ও পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর তৌফিকুর খান ও ভারতের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. বিভা শর্মা।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় ইউজিসির মাননীয় চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘জ্ঞাননির্ভর ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে প্রকৌশল ও প্রযুক্তিকে মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। ডুয়েটের এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেই লক্ষ্যেই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত বৈষম্য ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিক ব্যবহারের মত বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বহুমাত্রিক গবেষণা অপরিহার্য। এই কনফারেন্স দেশি-বিদেশি গবেষণায় আন্তর্জাতিক সমন্বয় গড়ে তুলবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’ তিনি ডুয়েটের গবেষণামুখী উদ্যোগের প্রশংসা করে কনফারেন্সের সফলতা কামনা করেন এবং আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কনফারেন্সের চীফ প্যাট্রন মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসা শিক্ষা ও সামাজিক বিজ্ঞান ধারার সমন্বয়ের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত রূপান্তর ও বৈষম্যের মতো বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় আন্তঃবিভাগীয় জ্ঞান অপরিহার্য। এখন এমন সময় এসেছে, যখন প্রকৌশলীকে জানতে হবে সমাজ সম্পর্কে, আর মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীকে বুঝতে হবে প্রযুক্তি। ডুয়েটের ভিশন তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু দক্ষ প্রকৌশলী তৈরি করতে চাই না; বরং এমন গ্লোবাল সিটিজেন তৈরি করতে চাই, যারা প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার পাশাপাশি নৈতিক দায়িত্বশীলতা ও সামাজিক সংবেদনশীলতায় গড়ে উঠবে।’ এ সময় তিনি ডুয়েটের জন্য অনুমোদিত ‘এম-ডুয়েট’ প্রকল্পকে ডুয়েটকে বিশ্বমানে রূপান্তরিত ও আধুনিকায়নের এক যুগান্তকারী অগ্রযাত্রা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি, দক্ষ মানবসম্পদ, স্বচ্ছ প্রশাসন ও উদ্ভাবনভিত্তিক ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা হবে।
উপাচার্য মহোদয় ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘এই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নতুন করে আমাদের পরিচয়, বিশ্বাস ও আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করার শক্তি অর্জন করেছি।’ তিনি এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সকে ধারণা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানের এক অনন্য সেতুবন্ধন উল্লেখ করে বলেন, ‘আগামী দু’দিন বিজ্ঞান ও মানবিক জ্ঞানের সমন্বয়ের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রিয় ডুয়েটসহ দেশকে এগিয়ে নিতে এই কনফারেন্স নতুন প্রজন্মের গবেষকদের সামনে অপার সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি করবে।’ এ সময় তিনি এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সফলভাবে আয়োজনের জন্য বিজ্ঞান অনুষদ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও অংশগ্রহণকারীদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
কনফারেন্সের প্যাট্রন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন, ‘ডুয়েটের বিজ্ঞান অনুষদ বর্তমানে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ম্যাথমেটিক্যাল মডেলিং, কোয়ান্টাম মেটেরিয়ালস্, ন্যানোটেকনোলজি, গ্রিন ক্যাটালাইসিস ও টেকসই পলিমার, ভাষা প্রযুক্তি, উদ্যোক্তা বিষয়ক নীতি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে প্রযুক্তির সঙ্গে মানবিক দিকের অভিযোজনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছে। এই কনফারেন্স বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসা শিক্ষা ও সামাজিক বিজ্ঞান ধারার সমন্বয়ের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের বিভিন্ন দিক উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে মোট ৫৩৪ টি পেপার উপস্থাপিত হচ্ছে এবং দেশ-বিদেশের প্রায় ৫০০ জন গবেষক, বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ অংশগ্রহণ করছেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
October 22, 2025

জ্ঞাননির্ভর সমাজ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা অপরিহার্য- ডুয়েট উপাচার্য

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের প্রস্তুতি গ্রহণ করে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করাই এখন সময়ের দাবি। প্রাণপ্রিয় ডুয়েট সেই দায়িত্ব পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও জ্ঞাননির্ভর সমাজ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা অপরিহার্য।’ আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত “প্রফেশনাল রেস্পনসিবিলিটিজ অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইউনিভার্সিটি টিচার্স” শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডুয়েটের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ও আইকিউএসি (বাকৃবি) পরিচালক ড. এম. আসাদুজ্জামান সরকার। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম।
কর্মশালায় মাননীয় উপাচার্য আরও বলেন, ‘শিক্ষকতা পেশায় নৈতিকতা ও পেশাগত দায়বদ্ধতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিক্ষকদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন, দক্ষতা অর্জন, দেশ-বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়কে উপস্থাপনে যোগ্য প্রতিনিধিত্ব ও প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতি আয়ত্ত করে গবেষণায় অগ্রসর হতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা জাগ্রত করে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে কাজ করতে হবে। এই কর্মশালা শিক্ষকদের ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’ তিনি এই ধরনের কর্মশালা আয়োজনের জন্য আইকিউএসি এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন, ‘একজন দক্ষ শিক্ষকই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমকে গতিশীল, গবেষণাভিত্তিক ও আধুনিকায়ন করতে পারেন। আমি মনে করি, এই কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষকবৃন্দ পেশাগত দায়িত্ববোধ, গবেষণামুখী মনোভাব ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ড আরও বেগবান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও গবেষণার সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করবেন।’
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের পেশাগত দায়িত্ব, দক্ষতা উন্নয়ন, শিক্ষাপদ্ধতির গুণগত মান নিশ্চিতকরণ বিষয়ক আলোচনা হয়। পরিশেষে প্রশ্নোত্তর ও মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে কর্মশালাটি সমাপ্ত হয়। উক্ত কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, ইনস্টিটিউট ও সেন্টারের পরিচালকবৃন্দ, আইকিউএসি এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকবৃন্দ, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও পোস্টগ্র্যাজুয়েট কোর্স কো-অর্ডিনেটরসহ প্রতিটি বিভাগ ও ইনস্টিটিউট থেকে মনোনীত শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন।
October 09, 2025

ডুয়েট ও তুরস্কের সেলজুক বিশ্ববিদ্যালয়-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর এবং তুরস্কের সেলজুক বিশ্ববিদ্যালয়-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবন ও জ্ঞান-বিনিময়ের ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) ডুয়েটের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এই এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এবং মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার।

এ সময় ডুয়েটের পক্ষ থেকে এমওইউতে স্বাক্ষর করেন রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়ব এবং সেলজুক বিশ্ববিদ্যালয়-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত থেকে স্বাক্ষর করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস কো-অর্ডিনেশনশীপ-এর   কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. রেজাই কুশ। 

অনুষ্ঠানে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আজকের এই সমঝোতা স্মারক উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জ্ঞান বিনিময়, গবেষণা ও প্রযুক্তির সেতুবন্ধনের মাইলফলক। এই উদ্যোগের মাধ্যমে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও সংস্কৃতির মধ্যে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটল। এর মাধ্যমে একাডেমিক জ্ঞান বিনিময়, গবেষণা সহযোগিতা এবং শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ বৃদ্ধি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও আধুনিক, কর্মমুখী ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে তুলবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের প্রস্তুতি গ্রহণ করে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা এবং এই পরিবর্তনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে গড়ে তোলাই ডুয়েটের লক্ষ্য। সেলজুক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই এমওইউ সেই দিগন্ত উন্মোচনের এক নতুন পদক্ষেপ, যা শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করবে।’ উপাচার্য মহোদয় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘এই একাডেমিক অংশীদারিত্ব শুধু শিক্ষার্থী বা শিক্ষকদের মধ্যে একচেঞ্জ প্রোগ্রামেই সীমাবদ্ধ থাকবে না— বরং এটি হবে ভ্রাতৃপ্রতিম দুই জাতির মধ্যে মেধা, সৃজনশীলতা ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের এক যৌথ যাত্রা। এই সহযোগিতা ভবিষ্যতের উদ্ভাবনী ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।’

মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন, ‘ডুয়েট ও সেলজুক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগ দেশের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও শিল্পক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা আশা করি, এটি দুই দেশের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার বিনিময়কে আরও প্রসারিত করবে এবং আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার সম্ভাবনা উন্মোচন করবে।’

এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডুয়েটের অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

September 22, 2025

গবেষণানির্ভর টেকসই শিক্ষা ব্যবস্থাই World Ranking-এর পাথেয়- ডুয়েট উপাচার্য

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, ‘শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ অর্জন ছাড়া কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এগিয়ে যাওয়া এবং World Ranking-এ  অবস্থান সুদৃঢ় করা সম্ভব নয়। গবেষণানির্ভর টেকসই শিক্ষা ব্যবস্থা, গুণগত প্রকাশনা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং  নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও বিনিময় কার্যক্রমই বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভিত্তি। আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত “World University Ranking: Criteria, Challenges and Best Practices” শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডুয়েটের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহরিয়ার রহমান। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম।

কর্মশালায় মাননীয় উপাচার্য আরও বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণা-সমৃদ্ধ, সৃজনশীল এবং আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে হলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে একযোগে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও বিনিময়ে মনোনিবেশ করতে হবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর উদ্ভাবন ও গবেষণায় শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘World Ranking-এ অগ্রসর হতে হলে প্রবন্ধ প্রকাশ, গবেষণা-সাইটেশন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী আকর্ষণ এবং মানসম্মত পাঠ্যক্রম প্রণয়ন ও গবেষণাগারের সুবিধা অত্যন্ত জরুরি। ডুয়েট ইতিমধ্যেই এসব ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দৃঢ় অবস্থানে নিয়ে যাবে। উপাচার্য মহোদয় উল্লেখ করেন, ‘ডুয়েটের শিক্ষার্থী ও গবেষকরা আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা, উদ্ভাবনী প্রকল্প এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির দিকে আরও সুচারূভাবে মনোনিবেশ করে কাজ করলেই ডুয়েট শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও স্বীকৃতি অর্জন করতে পারবে।’ এ বিষয়ে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি এই ধরনের কর্মশালা আয়োজনের জন্য আইকিউএসি এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন শুধু প্রশাসনের ওপর নির্ভর করে না; বরং প্রতিটি শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীর সম্মিলিত প্রয়াসে সম্ভব হয়। Ranking-এ  অবস্থান সুদৃঢ় করার জন্য আমাদের সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এজন্য ডুয়েটের প্রতিটি একাডেমিক ও প্রশাসনিক ইউনিটকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স প্রক্রিয়ার সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে যুক্ত করতে হবে।’

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীবৃন্দের সঙ্গে Ranking-এ  ডুয়েটের অবস্থান সুদৃঢ় করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি, কৌশল এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে মতবিনিময় করা হয়। পরিশেষে প্রশ্নোত্তর ও মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে কর্মশালাটি সমাপ্ত হয়। উক্ত কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডীন, বিভাগীয় প্রধান, ইনস্টিটিউট ও সেন্টারের পরিচালকবৃন্দ, আইকিউএসি এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকবৃন্দ, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও পোস্টগ্র্যাজুয়েট কোর্স কো-অর্ডিনেটরসহ প্রতিটি বিভাগ ও ইনস্টিটিউট থেকে মনোনীত শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন।

September 17, 2025

একনেক সভায় ‘ডুয়েটের গবেষণাগারসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ আধুনিকায়ন এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)-এর আজকের সভায় ‘ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর গবেষণাগারসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ আধুনিকায়ন এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন (M-DUET)’ শীর্ষক প্রকল্প চুড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়েছে। জুলাই ২০২৫ থেকে জুন ২০২৯ পর্যন্ত চার বছর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। বহুল প্রত্যাশিত এ প্রকল্প অনুমোদন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী মাইলফলক।

আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্প অনুমোদনের পর ডুয়েটে আয়োজিত সংবর্ধনায় মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘ডুয়েটের গবেষণা কার্যক্রমকে বিশ্বমানের ও উদ্ভাবনমুখী করে গড়ে তোলার জন্য এই প্রকল্প একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ডুয়েটের গবেষণাগারসমূহ আধুনিকায়নের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার সুযোগ পাবে। একই সঙ্গে দক্ষ প্রকৌশলী তৈরির ক্ষেত্রে ডুয়েট আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। আমি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং মাননীয় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং অন্যান্য উপদেষ্টা মহোদয়কে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। একই সঙ্গে প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রস্তুতকরণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং ডুয়েটের এলামনাইবৃন্দ ও সকল শুভাকাঙ্খীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণা নিশ্চিত করা, শিক্ষানুরাগী শিক্ষক, আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, উন্নত গবেষণা অবকাঠামো তৈরি, টেকসই আবাসন সুবিধা, বৈশ্বিক বাজারে কর্মসংস্থানের উপযোগী করে মানবসম্পদ তৈরি ও  বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবনমুখী পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে অনুমোদিত এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ডুয়েট হবে দেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ক উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র।’ 

উপাচার্য মহোদয় আরও বলেন, ‘ডুয়েট দেশের টেকসই উন্নয়ন, উদ্ভাবন ও শিল্পায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। প্রযুক্তির দ্রæত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে গবেষণাগার ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে ডুয়েটের সক্ষমতা উন্নয়ন জরুরি। আমরা আশা করছি, আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বের নেতৃত্বে অংশ নিতে পারবে আমাদের শিক্ষার্থীরা।’ তিনি বলেন, ‘প্রায় ৩৫০০ শিক্ষার্থীর জন্য গবেষণাগার আধুনিকায়ন, একাডেমিক ও ল্যাবরেটরি ভবন নির্মাণ, নতুন ১৬০০ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন সুবিধা এবং নিরাপত্তা ও আন্তঃক্যাম্পাস যোগাযোগের উন্নয়নই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।’ তিনি ডুয়েটের অগ্রযাত্রায় শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সকলকে শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত গবেষণা, প্রকাশনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রাণপ্রিয় ডুয়েট ও দেশের টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। 

মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আধুনিক বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও স্থাপনায় সমৃদ্ধ হয়ে ডুয়েট হয়ে উঠবে একটি গবেষণার আদর্শ সুতিকাগার। তিনি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় এবং মাননীয় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয় এবং প্রকল্প অনুমোদনের সঙ্গে জড়িত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও ডুয়েটের যৌথ বাস্তবায়নে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে। একনেক সভায় প্রকল্প অনুমোদনের সংবাদে ডুয়েটে সর্বস্তরে এক আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এই উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপাচার্য মহোদয়কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

September 11, 2025

টেকসই উন্নয়নে সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য জ্বালানির ভূমিকা অনস্বীকার্য- ডুয়েট উপাচার্য

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, ‘টেকসই উন্নয়নে সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য জ্বালানির ভূমিকা অনস্বীকার্য। বর্তমানে এই জ্বালানি খাত এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, স্মার্ট গ্রিড, এনার্জি স্টোরেজ, হাইড্রোজেন ইকোনমি, কার্বন-নিউট্রাল প্রযুক্তি- এগুলো আর ভবিষ্যতের গল্প নয়, বরং আমাদের বর্তমান বাস্তবতা। শিক্ষার্থীদের শুধু বইয়ের জ্ঞান নয়, বাস্তব সমস্যার সমাধানের জন্য তাদের দক্ষতাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে সৃজনশীল গবেষণা এবং এআই, ইন্টারনেট অব থিংসসহ প্রযুক্তি-ভিত্তিক উদ্ভাবনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এনার্জি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে পারলে বাংলাদেশ শুধু স্বনির্ভরই হবে না, বরং বিশ্ববাজারেও প্রতিযোগিতা করতে পারবে।’ আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারে কক্ষে আয়োজিত “এক্সপ্লোরিং দ্য ক্যারিয়ার অপারচুনিটি ইন এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইনস্টিটিউট অব এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং (আইইই) ও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত উক্ত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। আইইই-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. এ এন এম মোমিনুল ইসলাম মুকুটের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের (বিইপিআরসি) সদস্য (ইনোভেশন) ও অতিরিক্ত সচিব ড. মো. রফিকুল ইসলাম। আইইই-এর প্রভাষক সেজুঁতি জামানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন আইকিউএসি-এর অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম। 

সেমিনারে মাননীয় উপাচার্য বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বাড়ছে। এ খাতে রয়েছে অপার সম্ভাবনা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকগণ এসব বিষয়কে সামনে রেখে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি প্রসারিত করা, গবেষণা মনোভাব জাগ্রত করা এবং এনার্জি সেক্টরে ক্যারিয়ার গঠনের জন্য ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও আয়োজন করা যেতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষতায় প্রাণপ্রিয় ডুয়েটকে শীর্ষ অবস্থানে নিয়ে যেতে আমরা কাজ করছি।’ তিনি এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই গবেষণার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব, টেকসই এবং দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক বিষয়গুলোতে আগ্রহী হয়ে প্রাণের এই বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ তিনি এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আইইই ও আইকিউএসিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন, ‘এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং এমন একটি ক্ষেত্রÑ যা একদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত, অন্যদিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, নীতিনির্ধারণ, এনার্জি হারভেস্টিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক এনার্জি অপ্টিমাইজেশনসহ নানা ধরণের নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত। আমাদের শিক্ষার্থীদের উচিত এই পরিবর্তনের অংশ হওয়া এবং জ্বালানি খাতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করে যাওয়া।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই সেমিনারটি অংশগ্রহণকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণার নতুন দিকগুলোর প্রতি সুযোগ সৃষ্টি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’ 

আইইই-এর পরিচালক তাঁর বক্তব্যে এনার্জি সেক্টরে ইনোভেশনের গুরুত্ব তুলে ধরে জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি নিরাপত্তা, সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জৈব-জ্বালানি, আধুনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ইত্যাদির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং শিল্প, গবেষণা ও সরকারি খাতে এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাহিদার বিষয়ে আলোচনা করেন।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম জ্বালানি খাতের বৈশ্বিক প্রবণতা, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং বাংলাদেশে সুযোগ-চ্যালেঞ্জ বিশদভাবে তুলে ধরেন। তিনি জ্বালানি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প, এনার্জি এফিশিয়েন্সি, কার্বন ম্যানেজমেন্ট এবং এ খাতে ক্যারিয়ার গঠন ও নতুন নতুন চাকরির সুযোগের বিষয়ে বিস্তরিত তুলে ধরেন। পরে প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে সেমিনারটি সমাপ্ত হয়। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, পরিচালকসহ বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

September 01, 2025

শিক্ষা, প্রযুক্তি ও সৃষ্টিশীলতায় ডুয়েট হোক অগ্রদূত- ডুয়েট উপাচার্য

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, ‘ডুয়েটের ২২ বছরের এই যাত্রা একটি স্বপ্নপূরণের ইতিহাস। ডুয়েট আজ দেশের অন্যতম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। শিক্ষা, প্রযুক্তি ও সৃষ্টিশীলতায় ডুয়েট হোক অগ্রদূত। শিক্ষার মান উন্নয়ন, গবেষণা, উদ্ভাবন, শিল্পক্ষেত্রে সুদৃঢ় সম্পৃক্ততা- এসবই ডুয়েটকে আজকের এই অবস্থানে এনেছে। যাদের শ্রম, নিষ্ঠা ও ত্যাগের মাধ্যমে ডুয়েট আজকের এই অবস্থানে এসেছে, বিশেষ করে ডুয়েট নামকরণের আন্দোলনে যাঁরা ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’ আজ সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২তম বর্ষপূতি উপলক্ষ্যে ‘ডুয়েট ডে- ২০২৫’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় ডুয়েট’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটির উদ্যাপন উপলক্ষ্যে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, র‌্যালি, কেক কাটা, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ‘ডুয়েট ডে- ২০২৫’ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। এ সময় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালিত হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ শাকিল পারভেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষার্থীদের ‘ডীনস্ অ্যাওয়ার্ড’, কিউ ওয়ান ইনডেক্স জার্নালে প্রকাশনার জন্য শিক্ষকদের ‘একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ এবং ডিজাইন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানগুলোতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। 

মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ‘ডুয়েট ডে- ২০২৫’ এর শুভেচ্ছা জানিয়ে আরও বলেন, ‘আমরা এমন এক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যখন প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সাইবার সিকিউরিটিসহ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের প্রস্তুতি গ্রহণ করে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করাই এখন সময়ের দাবি। ডুয়েট সেই দায়িত্ব পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ডুয়েটের বর্ষপূর্তি আমাদের মনে করিয়ে দেয়- আমাদের লক্ষ্য কেবল ডিগ্রি প্রদান নয়, বরং দেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি নির্ভর উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা। আমি বিশ্বাস করি, আগামীতে ডুয়েট বিশ্বের শীর্ষ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাতারে পৌঁছে যাবে।’ তিনি ডুয়েটের শিক্ষক ও গবেষকদের আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ও উদ্ভাবনকে অগ্রাধিকার এবং শিক্ষার্থীদের গেøাবাল লিডার হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন, ‘আজ আমাদের শিক্ষার্থীরা যেমন দেশ-বিদেশে মেধার স্বাক্ষর রাখছে, তেমনি তারা নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, আধুনিক প্রযুক্তি চর্চা ও সৃজনশীল কাজে অবদান রেখে যাচ্ছে। তারা শুধু নামকরা জাতীয় প্রতিষ্ঠানে নয়, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা কেন্দ্রে নিজেদের মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রমাণ করছে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জিডিপি বৃদ্ধি, শিল্প-উন্নয়ন ও টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে তাদের অবদান অনন্য।’ এ সময় তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলকে ‘ডুয়েট ডে- ২০২৫’ এর শুভেচ্ছা জানান।

এছাড়া অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. শরাফত হোসেন ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের স্ব স্ব অনুষদের ২০২০-২০২১ সেশন থেকে ২০২২-২০২৩ সেশনের কৃতী শিক্ষার্থীদের ডীনস্ অ্যাওয়ার্ড ঘোষণার মাধ্যমে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এরপর অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) অধ্যাপক ড. মো. আনওয়ারুল আবেদীন কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ‘একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ ঘোষণার মাধ্যমে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। পরে বিশেষ অতিথি বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. কামাল-আল-হাসান ডুয়েট মসজিদের ডিজাইন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার ঘোষণা করেন এবং এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার দাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়ব। অনুষ্ঠানে ডুয়েটের দুই কৃতী শিক্ষার্থীসহ চারজন শিক্ষার্থী অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন। দিনব্যাপী নানা বর্ণিল আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে গোটা ক্যাম্পাস উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। 

August 28, 2025

ডুয়েট ও বিআইএম-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম), ঢাকা-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, শিক্ষায় আধুনিকায়ন এবং শিল্পক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিতে আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ডুয়েটের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এই এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এবং মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার।

এ সময় ডুয়েটের পক্ষ থেকে এমওইউতে স্বাক্ষর করেন রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়ব এবং বিআইএম-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত থেকে স্বাক্ষর করেন পরিচালক (আইকিউএসি) ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ইঞ্জি. মো. মামুনুর রশীদ। এ সময় ডুয়েটের পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) অধ্যাপক ড. মো. আনওয়ারুল আবেদীন এবং বিআইএম-এর বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ড. উত্তম কুমার দত্ত উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলা ও পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের প্রস্তুতি ও প্রযুক্তি-নির্ভর দক্ষতা উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি। এই এমওইউ-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীরা শুধু আধুনিক ল্যাবরেটরি সুবিধাই পাবেন না, বরং শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী গবেষণা ও প্রশিক্ষণে যুক্ত হতে পারবেন, যা তরুণদেরকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করবে। এ উদ্যোগের ফলে বিআইএম-এর শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ডুয়েট-এর আধুনিক ল্যাবরেটরি ও গবেষণা সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন। পাশাপাশি ডুয়েট-এর অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দ বিআইএম-এর বিভিন্ন একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি আরও বলেন, ‘এই এমওইউ-এর আওতায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), জেন-এআই, ইন্টারনেট অব থিংস, বিগ ডাটা, ক্লাউড কম্পিউটিং, এআর/ভিআর, বøকচেইন, রোবটিক্স ও সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে যৌথ প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ডুয়েট-বিআইএমের এই যৌথ উদ্যোগ স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, শিল্পক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে আরও গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও শিল্পক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করবে, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ডুয়েট-বিআইএমের এই যৌথ উদ্যোগ জাতীয় উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

August 27, 2025

হিট প্রকল্পের উপ-প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইউজিসির সঙ্গে ডুয়েটের চুক্তি

‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন এন্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট)’ প্রকল্পের তিনটি উপ-প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)-এর সঙ্গে  ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।  আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত হিট প্রকল্পের উপ-প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডুয়েট থেকে নির্বাচিত তিনটি উপ-প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।  উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। 

এ সময় ডুয়েটের পক্ষ থেকে উপস্থিত থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়ব এবং উপ-প্রকল্পগুলোর পরিচালক যথাক্রমে যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসান মোহাম্মদ মোস্তফা আফরোজ, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সাহিদ এবং মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহমান ফরহাদ।

ডুয়েট থেকে নির্বাচিত তিনটি উপ-প্রকল্প হলো যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসান মোহাম্মদ মোস্তফা আফরোজের অধীনে “Carbon Capture from Exhaust Gas for Sustainable Industrial Effluent Treatment Process”, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সাহিদের অধীনে “Development of Fire Safety Assessment Framework for the Ready-Made Garments Industry in Bangladesh: Focusing on Combustible Materials and Fire Risk Mitigation” এবং মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহমান ফরহাদের অধীনে “A Laboratory Experiment on Artificial Intelligence-driven Tools in Higher Education: Paradigm Transformation and Academic Enhancement” শীর্ষক গবেষণা প্রকল্প। দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে পাঁচ বছর মেয়াদি এই হিট প্রকল্পের ব্যয় বহন করবে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক। 

উল্লেখ্য, হিট প্রকল্পের নির্বাচিত উপ-প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে ডুয়েটের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত গবেষণা এবং প্রকাশনার ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোলাবোরেশন ও নতুন ল্যাবরেটরি স্থাপন, বিদ্যমান অবকাঠামোর আধুনিকায়ন, এ্যাডভান্স রিসার্চ ও ইনোভেশন সাপোর্ট ফ্যাসিলিটিস ও ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিংয়ে ডুয়েটের অবস্থান উন্নয়ন এবং শিক্ষা ও গবেষণাবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

August 18, 2025

মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে উপাচার্য মহোদয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর শিক্ষা, গবেষণা এবং সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার-এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ডুয়েটের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় - শিক্ষা, গবেষণা, ভূমি সম্প্রসারণ, বাজেট ও প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সার্বিক পরিস্থিতি যেমন- শৃঙ্খলাপূর্ণ একাডেমিক পরিবেশ, এক্সট্রা-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, উন্নত গবেষণা সুবিধা, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ও প্রকাশনা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক ও টেকসই উন্নয়নে অবদানসহ সামগ্রিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব সামগ্রিক বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ডুয়েটের উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে উপাচার্য মহোদয় আগামী ০১ সেপ্টেম্বর ডুয়েটের বর্ষপূতি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিতব্য ‘ডুয়েট ডে’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা সদয়ভাবে গ্রহণ করেন।

উপাচার্য মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান কার্যক্রম আরও গতিশীল করার জন্য মাননীয় উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের টেকসই উন্নয়ন এবং শিক্ষা, উদ্ভাবন ও গবেষণার উৎকর্ষতায় প্রাণপ্রিয় ডুয়েটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উপাচার্য মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।